সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিলল না কূটনৈতিক আশ্রয়৷ জল্পনায় ইতি টেনে, মালদ্বীপের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আধিব আবদুল গফুরকে তাঁর দেশে ফেরত পাঠাল ভারত। গত বৃহস্পতিবার, বৈধ নথি ছাড়া সমুদ্রপথে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন গফুর৷ সেদিনই তাঁকে আটক করে তামিলনাডু পুলিশ৷
[আরও পড়ুন: ভাঙল তিন দশকের রুশ-মার্কিন মিসাইল চুক্তি, ফের শুরু ঠান্ডা লড়াই!]
পুলিশ সূত্রে খবর, তুতিকোরিন বন্দরে প্রবেশ করতে ভার্গো-৯ নামের মঙ্গোলিয়ার একটি টাগবোটের সাহায্য নেন গফুর৷ সেটিতে চেপেই বন্দরে আসতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তিনি৷ গফুরের সঙ্গে ওই টাগবোটের ৯ কর্মীকেও মালদ্বীপে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ গফুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মালদ্বীপে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও চলছে। মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন গফুর৷ যদিও পরে সেই রায় খারিজ করে দেয় সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট৷ তবে ফের মামলটি শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়৷ তারপরই প্রাণ সংশয়ের কথা উল্লেখ করে ভারতে আশ্রয়ের আরজি জানিয়েছিলেন গফুর। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় সরকার।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পর মালদ্বীপে শান্তি ফেরাতে চেষ্টা করেছে ভারত। ভৌগলিক অবস্থানের জন্য বরাবরই ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক মালদ্বীপের৷ তবে গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি পালটেছে৷ ঋণের ফাঁদে ফেলে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে প্রায় কবজা করে ফেলেছিল চিন৷ ‘ভারত বিরোধী’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের সময়ে ক্ষুদ্র অথচ কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশটি দিল্লির মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে৷ তবে শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে সফল হয় ভারত৷ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যান আবদুল্লা ইয়ামিন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৫৪ বছরের ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ ওরফে ইবু। গণতন্ত্রপন্থী ও ভারতের বন্ধু সলিহর জয়ের নেপথ্যে দিল্লির হাত রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে৷
[আরও পড়ুন: কীভাবে ‘জেহাদের যুবরাজ’ হামজাকে গ্রাস করল মৃত্যু, রিপোর্টে ফাঁস তথ্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.