সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোটে’ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না গণতান্ত্রিক কাঠামো, কদিন আগে বিরোধী পক্ষের দাবি উড়িয়ে এই মন্তব্য করেছিল খোদ কেন্দ্রের আইন মন্ত্রক। যদিও ‘এক দেশ এক ভোটে’কে অসাংবিধানিক বললেন দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং কেন্দ্রের আইন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেপি শাহ। সোমবার বিতর্কিত বিলটির প্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটির কাছে ১২ পাতার একটি নোট জমা দিয়েছেন জেপি শাহ। সেখানে তিনি প্রস্তাবিত ‘এক দেশ, এক ভোট’কে আইনকে অসাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর লঙ্ঘনকারী বলেও উল্লেখ করেছেন।
সূত্রের খবর, সংসদীয় কমিটির কাছে প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে যুক্তি দিয়েছেন, প্রস্তাবিত আইনটি সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। যদিও জেপি শাহ দাবি করেছেন, ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলে অসংখ্য ভুল রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন স্থগিত রাখার ক্ষমতা দেওয়া। অপরপক্ষে সালভে বলেন, ‘এক দেশ এক ভোট’ অসংবিধানিক কিংবা তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী, এই ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। ডিএমকে সাংসদ পি উইলসনের প্রশ্নের উত্তরে এই যুক্তি দেন হরিশ সালভে। উল্লেখ্য, জেপি শাহ এবং সালভে বিজেপি সাংসদ পিপি চৌধুরীর নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটির সামনে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে চৌধুরী বলেন, আলাপচারিত ‘ইতিবাচক’ হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও মোদি সরকার সংসদে ‘এক দেশ এক ভোট বিল’ পেশ করেছে। যদিও এখনই বিল পাশ করানোর পথে না হেঁটে তা পাঠানো হয়েছে সংসদের যৌথ কমিটিতে (জেপিসি)। ইতিমধ্যেই জেপিসির বৈঠক উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে একসঙ্গে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি প্রণয়নের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সূত্রের খবর, আইন মন্ত্রক সেই প্রশ্নগুলির কয়েকটির উত্তর দিয়েছে। আরও কিছু প্রশ্ন ঠেলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের দিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.