ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিলেন তাঁরা। তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন মুকুল সাংমা। বললেন, একমাত্র তৃণমূলই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা রাখে। তাই এই পরিবারের সদস্য হতে পেরে আপ্লুত তিনি।
কিছুদিন ধরেই মেঘালয়ে কংগ্রেসের অন্দরের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছিল। বিশেষ করে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma) এবং কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ভিনসেন্ট এইচ পালার সম্পর্ক বহুদিন ধরেই অম্লমধুর। সাংমার অভিযোগ ছিল, পালাকে প্রদেশ সভাপতির পদে বসানোর আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেনি দলীয় নেতৃত্ব। ক্ষোভের সূত্রপাত সেই থেকেই। এরপর বিভিন্ন ইস্যুতে দু’ জনের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুকুল সাংমা। যা তৈরি করেছিল সাংমার তৃণমূলে যোগের জল্পনা।
সেই সময় থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন মুকুল সাংমা। বুধবার রাতে জানা যায়, অবিলম্বে তৃণমূল পরিবারের সদস্য হবেন তিনি। তার সঙ্গে আরও ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দেবেন ঘাসফুল শিবিরে। যা কংগ্রেসের জন্য যে বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য। বৃহস্পতিবার দলবদলের কথা ঘোষণা করেন খোদ মুকুল সাংমা। তিনি বলেন, “মানুষের সেবা করার ইচ্ছেতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমরা নিশ্চিত ছিলাম সরকার আমরাই গড়ব। কিন্তু আমরা তা করে উঠতে পারিনি। বরং নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের সদস্যদের ভাঙানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়ে যায়। বিরোধী হিসেবে আমাদের যা কর্তব্য তা আমরা করে উঠতে পারিনি। দেশের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পারেনি কংগ্রেস।”
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ১১ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল সাংমা। দলবদলের পরই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি। বলেন, “মানুষের সেবা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সহযোদ্ধা হতে পেরে আনন্দিত বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, “একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলই পারে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.