সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বেফাঁস কাশ্মীরের (Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। কাশ্মীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে সতর্ক করতে গিয়ে আফগানিস্তানের তালিবানি শাসনের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তিনি। শুধু প্রসঙ্গ টেনে আনলেন বললে ভুল হবে। রীতিমতো তালিবানের উত্থানে আমেরিকার পলায়ন বৃত্তির উদাহরণ টেনে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন মেহবুবা। বললেন, “কাশ্মীরিদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে মোটেই ভাল হবে না।”
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বরাবরই সরব বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (PDP) নেত্রী মেহবুবা মুফতি। কেন্দ্রকে একাধিকবার কাশ্মীরের মানুষ এমনকী পাকিস্তানের সঙ্গেও আলোচনা বসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর সে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে খবরের শিরোনামেও এসেছেন মেহবুবা। এবার ব্যতিক্রম হল না। কী বলেছেন তিনি?
আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান জেহাদি গোষ্ঠী। সেখানে নারকীয় অত্যাচার চালাচ্ছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে পিডিপি নেত্রী বললেন, “আমেরিকা সুপার পাওয়ার। তার পরেও তাদের আফগানিস্তান থেকে ব্যাগ গুছিয়ে পালাতে হয়েছে। তালিবান (Taliban Terror) তাদের পালাতে বাধ্য করেছে। আপনাদের (কেন্দ্রের) কাছে তো এখনও সময় আছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা শুরু করুন।” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে নিজেদের ভুল শুধরে নিন। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দিন।”
মেহবুবার এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক শুরু হলেও তিনি এখানেই থামেননি। পিডিপি নেত্রী আরও বলেন, “কাশ্মীরিরা দুর্বল নয়। কাশ্মীরিরা সাহসী আর ধৈর্যশীল। ধৈর্য রাখার জন্য অনেক সাহস দরকার। যেদিন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙবে, সেদিন তুমি হারবে।” তাঁর এহেন মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কাশ্মীর উপত্যকায় হিংসা এবং ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন পিডিপি নেত্রী। তবে মেহবুবা মুফতির এহেন মন্তব্যের পরই বেড়েছে জল্পনা। উঠছে প্রশ্ন। কাশ্মীরিদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে কী হবে? এহেন মন্তব্য করে কীসের ইঙ্গিত দিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? তবে কি কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রের মোকাবিলা করতে তালিবানের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন পিডিপি নেত্রী? প্রশ্ন অনেক, কিন্ত উত্তর নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.