সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে সমস্যা এখনও অব্যাহত। এর পাশাপাশি পড়শি দেশের আগ্রাসন নীতি বস্তুত চিন্তায় রেখেছে নয়াদিল্লিকে। উত্তরে পাকিস্তান, নেপালের সঙ্গে যেমন সখ্যতা বজায় রেখেছে লাল-চিন, তেমনই দক্ষিণে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাতেও প্রভাব বিস্তার করেছে বেজিং। সেই কথা মাথায় রেখেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
বিদেশমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন শ্রিংলা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে একাধিক বৈঠকে বসবেন তিনি। দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চলতে থাকা ভারতের প্রকল্পগুলি ও করোনা মহামারী-সহ একগুচ্ছ বিষয়ে আলোচনা হবে। তারপর অক্টোবরের ৫ তারিখ দেশে ফিরবেন বিদেশ সচিব। সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন শ্রিংলা। বলে রাখা ভাল, শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করছে বেজিং। ইতিমধ্যে সেদেশের হামবানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। আর এবার আরও একটি বন্দর তাদের হাতে আসতে পারে বলে খবর। আর এই খবরেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ভারতীয় নৌসেনা। এই বিষয়টি যে নয়াদিল্লির কাছে খুবই চিন্তার এবং গোটা পরিস্থিতির দিকে যে নজর রাখা হচ্ছে তা স্পষ্ট।
ডোকলামের পর গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা বাহিনীর সংঘর্ষের পর থেকেই দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক তলানিতে। সাউথ ব্লকের উদ্বেগ বাড়িয়ে বিগত দিনে ভারত মহাসাগরে লাগাতার আনাগোনা বাড়ছে চিনা রণতরীর। শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করেছে লালফৌজের সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ। ফলে কৌশলগত কারণেই এবার শ্রীলঙ্কাকে আরও কাছে পেতে চাইছে নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে শ্রীলঙ্কাকে প্রচুর ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলেছে চিন (China)। দ্বীপরাষ্ট্রটির কাছ থেকে হামবানটোটা বন্দর হাতিয়ে নিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। উদ্দেশ্য ভারত মহাসাগরে ভারতকে ঘিরে ফেলা। এর আগে পাকিস্তানের গদর বন্দরে লালফৌজের রণতরী মোতায়েন করেছে বেজিং। তাই বলয় পূর্ণ করে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে লাল-চিন। কিন্তু বেজিংয়ের চক্রান্ত বুঝতে পেরে পালটা চাল দিয়েছে দিল্লিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.