ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা অসুস্থ। খবর পেয়েও দেখা নেই অ্যাম্বুল্যান্সের। উপায়ান্তর না দেখে ঠেলাগাড়িতেই বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যান তাঁর ছেলে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দাবো শহরের কাছে লাহার অঞ্চলের এই ঘটনা ঘিরে বিতর্ক ঘনাতেই এফআইআর দায়ের হল স্থানীয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই তিন সাংবাদিকই ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন। যদিও ওই বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, অভিযোগটি মিথ্যে নয়।
তিন সাংবাদিক কুঞ্জবিহারী কৌরব, অনিল শর্মা ও এন কে ভাটেলের বিরুদ্ধে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসক রাজীব কৌরব এফআইআর দায়ের করেছেন। তার আগেই ভিন্ডের জেলাশাসক সতীশ কুমার এসের নেতৃত্বে গঠিত একটি তদন্তকারী দল দাবি করে, সেদিন ওই পরিবারের তরফে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য কোনও ফোনই করা হয়নি। পাশাপাশি এও দাবিও করা হয়, জ্ঞানপ্রসাদ বিশ্বকর্মা নামের ওই বৃদ্ধকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সরকারি হাসপাতালে নয়।
কিন্তু বৃদ্ধের পুত্র হরিকৃষ্ণ ও কন্যা পুষ্পা জানিয়েছেন, তাঁরা ফোন করেছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে থাকার পরও তা না আসায় বাধ্যতই একটি ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে প্রায় ৫ কিমি দূরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জ্ঞানপ্রসাদকে।
এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ওই পরিবার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও তারা নানা রকম সরকারি সাহায্য এর আগে পেয়েছে। এই দাবিও উড়িয়ে দিয়েছে বৃদ্ধের পরিবার। তারা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার একটি কিস্তি ছাড়া তারা কোনও ধরনের সরকারি সাহায্য পায়নি। হরিকৃষ্ণ অভিযোগ করেছেন, এরপরই সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের একটি সাদা পাতায় সই করাতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই তাতে সই করেননি। যদিও প্রশাসন এই অভিযোগ সম্পর্কে এখনও নীরব।
উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ফোন করেও অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও অনেককেই এই ধরনের অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান গত এপ্রিলে দাবি করেছিলেন, মধ্যপ্রদেশে মোট অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪৫ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫২টি হয়েছে। কিন্তু এরপরও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেই চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.