সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল দেশ থেকে কালো টাকা দূর করা। এমনকী কালো টাকার হদিশ পেতে ই-মেল আইডিও চালু করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক৷ বলা হয়েছিল, কালো টাকা সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানাতে হলে ‘[email protected]’ -এ মেল করতে হবে। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি তাতে যে পরিমাণ মেল জমা পড়েছে, তার অধিকাংশের ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে ই-মেল আইডিটি চালু করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাতে ই-মেল করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৮টি৷ কালো টাকার হদিশ দিতেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা মানুষ এই ই-মেলগুলি করেছেন৷ তাঁরা কালো টাকার উৎস নিয়ে নানা হদিশ দিতে চেয়েছেন৷ কিন্তু এই ই-মেলগুলির মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ অর্থাত্ মাত্র ৬ হাজার ৫০টি ই-মেল তদন্তের জন্য আয়কর বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ এই তথ্য দিয়ে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) জানিয়েছে, তারা ৩৮ হাজারেরও বেশি ই-মেল পেলেও শুধুমাত্র তদন্তযোগ্য মনে করে ওই মেলগুলি আয়কর দফতরের কাছে পাঠিয়েছে৷
তথ্য জানার অধিকার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় এই তথ্য কবুল করেছে সিবিডিটি৷ মুম্বইয়ের এক বর্ষীয়ান তথ্য আন্দোলনকারী জিতেন্দ্র ঘাটগে আরটিআই অ্যাক্টে এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করেন৷ সেখানে আদালতে এই তথ্য পেশ করে সিবিডিটি৷ তারা জানিয়েছে, ৩২ হাজার ১৮টি ই-মেলের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ কারণ সেগুলি সন্তোষজনক বা তথ্যনির্ভর ছিল না৷ ঘাটগের অভিযোগ ছিল, ৮৪ শতাংশ ই-মেলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ এমনকী কেন্দ্রীয় তথ্য সচিব হাসমুখ ওয়াদিয়া এ নিয়ে কিছু জানাননি৷
এর আগেও চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তথ্য জানার অধিকার আইনে ঘাটগে আরও একটি প্রশ্ন করেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, নোট বাতিলের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কে কত টাকা জমা পড়েছে? যদিও তথ্য জানার অধিকার আইনের নিয়মের কথা জানিয়ে সেটি জানায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.