সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চমকে যাওয়ার মতোই ঘটনা! ফলে এই শিরোনামটা পড়ে আপনি যেরকম অবাক হচ্ছেন, তার চেয়েও করুণ অবস্থা হয়েছিল নিজামবাদের দুই এগ্রিকালচারাল অফিসারের। কেন না চোখের সামনে দেখতে বাধ্য হতেন সেই দম্পতি- ৭ মাসের শিশুসন্তান যন্ত্রণায় দিন-রাত কেঁদেই চলেছে। অথচ, শিশুবিশেষজ্ঞরা তার কষ্টের উপশম করা তো দূরস্থান, কেন হচ্ছে এমন- তাও বলতে পারছেন না!
অতঃপর দেরি না করে ওই দম্পতি সন্তান নিয়ে রওনা দেন হায়দরাবাদে। সেখানে চিকিৎসক এম রঙ্গাইয়া জানান, আলট্রাস্ক্যানে ধরা পড়েছে যে শিশুটির পেটের ভিতরে একটা কিছু জমাট বেঁধে আছে। বেশ বড়সড় মাংসপিণ্ড একটা! এর পর বিশদে পরীক্ষা করতে গিয়েই চমকে ওঠেন চিকিৎসকরা। দেখেন, ওই ৭ মাসের শিশুর গর্ভে রয়েছে একটি ভ্রুণ। তার হাত-পা বড় হয়ে গিয়েছে, এমনকী চুল বেরোতেও শুরু করে দিয়েছে।
যাই হোক, অস্ত্রোপচার করে ভ্রুণটিকে বের করে আনা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা ছিল না। কেন না, তা শিশুর শরীরের সব পুষ্টি শুষে নিচ্ছিল। ওই ভ্রুণটি থেকে শিশুটির রক্ত দূষিত হওয়ারও আশঙ্কা ছিল। জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরে শিশুটি সম্পূর্ণ আছে। আরও জানা গিয়েছে, ভ্রুণটির ওজন ছিল প্রায় ১০০ গ্রামের কাছাকাছি। হাত, পা, চুল, পাঁজর আর নখ গঠিত হয়েছিল সেই ভ্রুণশরীরে। তবে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ এবং অন্ত্র তখনও গঠিত হয়নি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি বিরল হলেও মানবজাতির ইতিহাসে একেবারে অপরিচিতও নয়। ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন তাঁরা- এক্ষেত্রে মাতৃগর্ভে দুটি ভ্রুণ ছিল। তার মধ্যে যেটি শক্তিশালী, সেটি ওই জন্ম নেওয়া শিশুতে পরিণত হতে শুরু করে। অন্য ভ্রুণটি দুর্বল হওয়ায় জট পাকিয়ে থেকে যায় শিশুটিরই গর্ভে। সারা পৃথিবী খুঁজলে বড়জোর এরকম ১০০টা দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা যাবে, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.