সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সাত বছরের কারাদণ্ড হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন এই আরজেডি নেতা। এর ভিত্তিতেই সাজা ঘোষণা করল রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। দুমকা কোষাগার মামলাতেই এই সাজা পেলেন লালু। এদিকে এই মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র। সাত বছর সাজার মেয়াদ পূর্ণ হলে ফের সাত বছর সাজা খাটতে হবে লালুকে। এমনটাই জানিয়েছে সিবিআইয়ের আদালত।
অভিযোগ, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বে পশুখাদ্য কেনার নাম করে জাল নথির মাধ্যমে দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৯০ লক্ষ টাকা তোলা হয়। এর আগে পশুখাদ্য সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবকে পাঁচ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয় সিবিআই আদালত। সেই মামলায় ২০১৩-তে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবশ্য তিনি জামিন পান।
২০১৭-র মে মাসে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এরপর লালুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও ওই কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত প্রত্যেকটি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা চালানোর আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। অভিযোগ, ১৯৯০-১৯৯৭ সালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বে পশুখাদ্য কেনার নাম করে অনেক কেলেঙ্কারি হয়েছে। এই সময় জাল নথির মাধ্যমে কয়েকবারে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা কোষাগার থেকে তোলা হয়। এরপর চলতি বছরের শুরুতেই তাঁর নামে চলা তৃতীয় মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হন লালু। একই মামলায় ফাঁসেন বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র। দুজনকেই পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজা শোনানোর পাশাপাশি পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানারও ঘোষণা হয়। মোট ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর কোষাগার মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু বর্তমানে জেলেই রয়েছেন। রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ কাটাচ্ছেন তিনি। এদিনের মামলায় অভিযোগ ছিল ১৯৯০-এর দশকে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে জাল নথি দেখিয়ে ৩৫.৬২ কোটি টাকা অবৈধভাবে সরিয়ে নেন লালু। ওই সময় অবিভাজিত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত আরজেডি সুপ্রিমোকে দুমকা কোষাগার মামলার সাজা ঘোষণা করল। ৩.৫ কোটি টাকা জালিয়াতি করে তুলে নেওয়ার অভিযোগেই সাত বছরের কারাদণ্ড হল তাঁর। এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে চলতি মাসের পাঁচ তারিখে। লালু ছাড়াও দুমকা কোষাগার মামলায় দোষীদের তালিকায় ছিল ৩১ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে একজন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র। যদিও সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি। দোষীদের মধ্যে রাজনীতিক জগদীশ শর্মা, আর কে রানা, বিদ্যাসাগর নিষাদ রয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.