Advertisement
Advertisement
করোনা এইমস

করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঞ্চল্যকর সমীক্ষা এইমসের! প্রশ্নে রোগীদের শনাক্তকরণ পদ্ধতি

এই সমীক্ষার পর করোনার প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে ধারণা বদলে যেতে পারে!

Focus on fever as predominant Covid symptom is wrong, says AIIMS
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 26, 2020 10:02 am
  • Updated:July 26, 2020 10:02 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (CoronaVirus) প্রাথমিক উপসর্গ মানেই জ্বর। প্রচলিত এই ধারণা বদলে দিল এইমসের করা একটি সমীক্ষা। যাতে বলে হচ্ছে, ভারতীয় করোনা রোগীদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে জ্বরের লক্ষণ মিলেছে। বাকি ৮৩ শতাংশ রোগীর শরীরের প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর নয়। এর অর্থ, করোনা রোগী শনাক্ত করার জন্য যদি শুধু জ্বরকেই প্রাথমিক উপসর্গ ধরে এগোনো হয়, তাহলে বহু রোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না।

corona

Advertisement

দিল্লি এইমসের ট্রমা সেন্টার এবং হরিয়ানা এইমসের মোট ১৪৪ জন করোনা রোগীর উপর এই সমীক্ষা করেছে AIIMS। যাতে দেখা যাচ্ছে, এই রোগীদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ রোগী জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। যা কিনা অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম। তবে, ওই রোগীদের ৮৮ শতাংশের শরীরে হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন জ্বরের উপসর্গ তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। ভারতীয়দের মধ্যে জ্বরের তুলনায় অনেক বেশি করোনা রোগীর শরীরে প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে কাশির লক্ষণ দেখা গিয়েছে।এইমসের সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৩৪.৭ শতাংশ রোগী কাশির লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। মাত্র ২ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সর্দি নিয়ে। যাদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ রোগীর শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। আইসিএমআরের (ICMR) জার্নালে এই সমীক্ষাটি প্রকাশ করা হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: আনলকের তৃতীয় পর্যায়ে খুলবে স্কুল-কলেজ, মেট্রো? ইঙ্গিত মিলল কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে]

অর্থাৎ এইমসের এই সমীক্ষায় স্পষ্ট, করোনা রোগীর শরীরে সবার প্রথমে জ্বরের লক্ষণ দেখা দেবে, এই মিথ সত্যি নয়। বরং জ্বরের তুলনায় অনেক বেশি মানুষের শরীরে কাশির লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তার চেয়েও বেশি রোগীর শরীরে প্রাথমিকভাবে কোনও উপসর্গই দেখা যায়নি। যা কিনা বিপজ্জনক। কারণ, ভারতীয়দের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, করোনা রোগী মানেই তাঁর শরীরে প্রাথমিকভাবে জ্বরের লক্ষণ দেখা যাবে। ফলে অনেক সময় দেখা যাচ্ছে জ্বর না হলে শুধু সর্দি বা কাশিকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বা করোনা পরীক্ষা কোনওটাই করানো হচ্ছে না। যার ফলে অনেক করোনা রোগীকেই শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাঁরাই হয়তো ‘ক্যারিয়ার’ হয়ে অন্যদের শরীরে এই রোগ ছড়াচ্ছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement