Advertisement
Advertisement

Breaking News

PM Modi

দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতি চিহ্নিত করতেই পাঁচ বছর! বিরোধীদের কী জবাব অর্থমন্ত্রীর?

প্রধান অভিযুক্ত দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়ে নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

FM Nirmala Sitharaman defended time taken to file the first fraud complaint against ABG Shipyard। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:February 15, 2022 9:42 am
  • Updated:February 15, 2022 10:16 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদির রাজ্য গুজরাটের (Gujarat) এবিজি শিপইয়ার্ডের (ABG Shipyard) বিরুদ্ধে ২৮টি ব্যাংকের মোট ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সরব কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেসের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই সংস্থাকে বিপুল পরিমাণ জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া কেন এই কেলেঙ্কারি চিহ্নিত করতে ৫ বছর লেগে গেল সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা। অবশেষে বিরোধীদের তোপের মুখে ময়দানে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

কী জানাচ্ছেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)? অর্থমন্ত্রীর দাবি, এক্ষেত্রে সময় কমই লেগেছে। তাঁর মতে, সাধারণত এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা চিহ্নিত করতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। সেই তুলনায় অনেক তাড়াতাড়িই মামলা রুজু করা গিয়েছে। উল্লেখ্য়, কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্ত ঋষি আগরওয়াল ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাই নয়, তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্বও পেয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভালবাসার দিনে কনের সাজে দেবলীনা, ফের বিয়ে করলেন অভিনেত্রী?]

এই অবস্থায় নির্মলা তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই। তাঁর দাবি, ওই ঋণ নেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস আমলে। এবং অ্যাকাউন্টটি নন-পারফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে চিহ্নিতও হয়েছিল ২০১৩ সালের নভেম্বরে। অর্থাৎ সেই সময় থেকেই আর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি ওই অ্যাাকউন্ট থেকে। পরে ২০১৪ সালের মার্চে ওই ঋণের পরিকাঠামো নতুন করে তৈরি হয়। সবটাই কংগ্রেস আমলে। এভাবেই দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় বিরোধীদের পালটা আক্রমণ করেছেন নির্মলা।

এদিকে কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, মোদি দেশের অর্থনীতিতে ৫ ট্রিলিয়ন করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। এদিকে তাঁরই আমলে গত সাড়ে সাত বছরে ৫.৩৫ ট্রিলিয়নের ব্যাংক জালিয়াতি হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, ২০২০-২১ সালের এক আরটিআইয়ের জবাবে আরবিআই জানিয়েছিল, এই সব জালিয়াতির মাত্র ০.৭ শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, প্রতিদিন ব্যাংক জালিয়াতির ধাক্কায় গড়ে ১৯৫.৫ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যাংক পরিষেবা ক্ষেত্রকে। সব মিলিয়ে এবিজি শিপইয়ার্ডের এই প্রতারণার ঘটনায় কেন্দ্র-বিরোধী সংঘাত চরম আকার নিল। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নীরব থাকা নরেন্দ্র মোদি কবে এই বিষয়ে মুখ খোলেন সেটাই এখন দেখার।

[আরও পড়ুন: রাহানেকে নিয়ে কি লাভবান হল কেকেআর? মুখ খুললেন জুহি চাওলার মেয়ে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement