Advertisement
Advertisement
আর্থিক প্যাকেজ

দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করতে নিয়ম বদল কেন্দ্রের

তিন লাখ কোটি টাকার ঋণের ঘোষণা।

FM is declaring new rules, packages for MSME amid LockDown
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 13, 2020 4:59 pm
  • Updated:May 13, 2020 5:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্ষু্দ্র ও মাঝারি শিল্প। তাদের চাঙ্গা করতে নয়া পদক্ষেপ ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অক্সিজেন দিতে  ছয়দফা পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন।

নির্মলা সীতারমণ জানান, বিভিন্ন মন্ত্রক সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছে। তার উপর ভিত্তি করে এই প্যাকেজ তৈরি হয়েছে। দেশের আত্মনির্ভরতা বাড়াতে এই প্যাকেজ। পাশাপাশি, স্থানীয় ব্র্যান্ডকে বিশ্ব ব্র্যান্ড করাই লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সংকটেরর মধ্যেও বিভিন্ন দেশে ওষুধ, চিকিসা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছ। এর আগে লকডাউনের শুরুতেই সরকার একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। গরীব মানুষের কাছে
সরাসরি ভরতুকি দেওয়া হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচিত। দেশকে আত্মনির্ভর করতে ২০১৪ সাল থেকে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এখনও তা চলছে। ৪০ দিনে দেশে পিপিই, ভেন্টিলেটর তৈরি শুরু
হয়েছে। এটা অন্যতম।

Advertisement
  • দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ১৫ দফা পদক্ষেপ। এর মধ্যে ছটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য।
  • গ্যারান্টি ফি ছাড়া তিন লাখ কোটি ঋণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য।
  • ১ বছরের জন্য সুদ দিতে হবে না।১০০ কোটি লেনদেন হলে তবেই মিলবে ঋণ। উপকৃত
    হবে ৪৫ লক্ষ কোটি শিল্প ইউনিট। ৪ বছর পর্যন্ত ঋণের মেয়াদ।দুর্বল ও ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি ঋণ। উপকৃত দু লক্ষ কোটি ইউনিট। অনাদায়ী,ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র শিল্পকেও ঋণ।
  • ১০ হাজার কোটি বাড়তি মূলধন, বাড়তি ৫০ হাজার কোটির যোগানের ব্যবস্থা।
  • ব্যবসা বাড়াতে পদক্ষেপ।নতুন সংজ্ঞায় ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ও ৫ কোটি টার্নওভার  করলে ক্ষুদ্র শিল্প বা উদ্যোগ বলে বিবেচনা করা হবে। ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ও ৫০ কোটি টার্নওভার করলে তা ছোট শিল্প বা উদ্যোগ বলে বিবেচিত হবে। ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ও ১০০ কোটি পর্যন্ত টার্নওভার করলে তা মাঝারি উদ্যোগ বলে বিবেচিত হবে।
  • ২০০ কোটির কম বরাতে গ্লোবাল টেন্ডার নয়।বরাত পাবে স্রেফ দেশীয় সংস্থা।
  • সরকার থেকে বা কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে যদি কোনও ক্ষুদ্র, ছোট বা মাঝারি শিল্পের বকেয়া পাওনা থাকে তা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে।
  •  আগামী ৩ মাস ইপিএফের ২ শতাংশ দেবে কেন্দ্র, ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। বেসরকারি কর্মীদের থেকে ১২ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ ইপিএফ কাটা হবে। 
  • কেন্দ্র আরও তিনমাসের জন্য পিএফের অনুদান দেবে।ইপিএফেও তিনমাস অনুদান দেবে কেন্দ্র।
  • বিদ্যুত বন্টন সংস্থাকে ৯০ হাজার কোটি টাকার ঋণ।বিদ্যুত ক্ষেত্রে মূলধন যোগাতে না ব্যবস্থা।
  • নন-ব্যাঙ্কিং সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ। প্রয়োজনে বাড়তি ঋণ দিতে পারবেন তারা।
  • টিডিএস ও টিসিএসের হার ২৫ শতাংশ কমানো হল। ১৪ মে থেকে, ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২১ অবধি কার্যকর থাকবে। ফলে ৫০ হাজার কোটির সাশ্রয় হবে।
  • কাজ শেষ করার জন্য সরকারি ঠিকাদারদের আরও ৬ মাস সময় দেওয়া হবে।
  • আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানো হল। আয়কর রিটার্নের ছাড়ের সময়সীমা বেড়ে হল ৩১ অক্টোবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement