Advertisement
Advertisement
বন্যা

প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি অসম-সহ চার রাজ্য, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ লক্ষ মানুষ

চারটি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Floods wreak havoc in Bihar, Northeast: At least 18 dead.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 15, 2019 7:10 pm
  • Updated:July 15, 2019 7:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে খরা পরিস্থিতির জেরে জলের জন্য হাহাকার করছে মানুষ। অন্যদিকে, অসম ও বিহার-সহ চারটি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৮ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ লক্ষ মানুষ। ক্রমাগত বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অসমে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৬ লক্ষের বেশি মানুষ। অন্যদিকে বিহারে প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৮ লক্ষের বেশি মানুষ। মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বানভাসি মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে একলাখ ১৪ হাজার ও ১০ হাজার।

[আরও পড়ুন- হিমাচলে বহুতল ভেঙে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, উদ্ধার ১৩ জওয়ানের দেহ]

সোমবার অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে বন্যার জেরে মৃতের সংখ্যা ১৪ ছাড়িয়েছে। গত শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে দু’জন জোড়হাট জেলার বাসিন্দা, বাকিরা বরপেটা এবং ধুবুড়ি জেলার। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯০ শতাংশ অঞ্চল বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। বিপন্ন প্রাণীরা পার্শ্ববর্তী কার্বি আংলং জেলায় তুলনায় কিছুটা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় সাতটি হরিণের মৃত্যু হয়েছে। ৩৩টি জেলার মধ্যে বর্তমানে ২৮টি বন্যাকবলিত। এর জেরে ২৬ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন মোট ৩২৭টি ত্রাণ শিবিরে। বন্যার জেরে নষ্ট হয়েছে ৮৭,৬০৭ হেক্টর জমির ফসলও।

Advertisement

রাজধানী গুয়াহাটিতেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র। এছাড়া নেমাতিঘাট, তেজপুর, গোলপাড়া এবং ধুবুরিতেও জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। বাকি নদীগুলিতেও চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আরও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অসম-সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে।

[আরও পড়ুন- বিজেপি বিধায়কের জামাইকে অপহরণের চেষ্টা, প্রাণহানির আতঙ্কে কাঁটা স্ত্রী]

প্রবল বৃষ্টি ও নেপালে বন্যার ফলে বিহারেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কোশি-সহ একাধিক নদীতে জল বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন জায়গা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর বিহারের পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ। শেওহর, সীতামারি, পূর্ব চম্পারণ, মধুবনী, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, সুপোল এবং দ্বারভাঙা জেলার প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ বন্যাকবলিত। নেপালে বৃষ্টি না থামায় পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছে। এর মধ্যে আরারিয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বন্যাকবলিত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement