সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেরল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার রাতে কেরল পৌঁছবেন তিনি। শনিবার আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাবেন।
কেরলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সমস্ত রাজনৈতিক দল। দিন দিন যেভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, তাতে আরও গুরুতর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করেন, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এলাকায় আরও বেশি করে সেনা ও নৌসেনা নামানো হোক। একই সঙ্গে চলতি পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে কেরলকে বিশেষ অর্থ সাহায্য দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন রাহুল। এই নিয়ে একটি টুইটও করেছেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট।
Kerala is in great pain. I spoke to PM and requested him to massively increase deployment of the Army & Navy. I also said that it is critical that he gives the state special financial assistance as this is a tragedy without parallel in Kerala’s history. #IndiaStandsWithKerala
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 16, 2018
কেরলের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। ক্রমশ বেড়ে চলেছে মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা৷ সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন ৩৮ জন। স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। তবে বেসরকারি মতে, মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। বিগত সাত দশকে এ ধরনের ভয়াবহ বন্যা দেখেননি কেরলবাসী। বৃষ্টি না কমায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ রেলওয়ের পরিষেবা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোচির মেট্রো ও বিমান চলাচল। সুপ্রিম কোর্টও এদিন কেরলের বন্যা পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে। মুল্লারপেরিয়ার বাঁধে জলের উচ্চতা ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। মুল্লারপেরিয়ার-সহ রাজ্যের একাধিক বাঁধের জল ছাড়া নিয়ে কেরল ও তামিলনাড়ু সরকারের মধ্যে বিরোধ চলছে।
[ বাজপেয়ী-মমতা যুগলবন্দিতে বিপ্লব ঘটেছিল রেলে ]
এহেন পরিস্থিতিতে দুই রাজ্যের বিবাদ মেটাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানিতে সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত। রাহুল গান্ধী এদিন কেরলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন। আপাতত পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিচার করে কেরলে জরুরি ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে।
রাজ্যের ১৪টি জেলার মধ্যে ১১টিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইদুক্কি, কোঝিকোড়, ওয়ানাদ, পাথনমতিট্টা, মলপ্পুরম, কান্নুর, এর্নাকুলাম জেলার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পাথনমতিট্টা জেলায়। দুর্গতদের উদ্ধার করতে আরও বেশি সেনা নামানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন করেছেন। বন্যার জেরে শুধু ট্রেন চলাচলই নয়, শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে কোচি বিমানবন্দর।
[ শেষকৃত্য বিকেলে, বাজপেয়ীর শেষযাত্রা উপলক্ষে একাধিক রাস্তা বন্ধ দিল্লিতে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.