সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির কার্যালয়, বাসভবনও। তাঁকে উদ্ধার করেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। উদ্ধারকাজে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়ায়, হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের বিহারের বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। স্কুল, কলেজ আজও বন্ধ।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দিনগুলিতে আরও বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা। গত সপ্তাহান্তেই পাটনায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড। ফলে গঙ্গা, কোশি, গণ্ডক নদীতে জলস্তর আরও বেড়ে বাঁধ ভেঙে পার্শ্ববর্তী এলাকা প্লাবিত হবে বলে প্রতি মুহূর্ত আশঙ্কায় কাঁপছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই পাটনার সরকারি হাসপাতাল নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ জলের তলায় চলে গিয়েছে। এটিই পাটনার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। এটি জলমগ্ন হয়ে পড়ার ফলে চিকিৎসা আপাতত লাটে উঠেছে।
পাটনা শহরের এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী তার বদ্ধ পয়প্রণালী ব্যবস্থাই। স্থানীয় বাসিন্দারা এমনটা জানিয়েছেন। এর জন্য পাটনা পুরসভাকেই দায়ী করছেন তাঁরা। সংকেত ঝা নামে এক কলেজ ছাত্রের কথায়, ‘পাটনা শহরের এমন জলবন্দি দশা আমি আগে দেখিনি।’ বন্যার জল ঢুকেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিং, জিতনরাম মাঝি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডির বাসভবনও। বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থায়। জাতীয় সড়ক জলমগ্ন, বিপদগ্রস্তও। ১২টি লং রুটে বন্ধ ট্রেন। বাতিল বেশ কিছু প্যাসেঞ্জার ট্রেনও। কিছু বিমানও বাতিল করা হয়েছে। গত চারদিন ধরে বিহারের এই বন্যা পরিস্থিতিতে থমকে গিয়েছে কার্যত গোটা রাজ্যই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.