তরুণকান্তি দাস: যাব কি যাব না? দ্বিধাবিভক্ত ভ্রমণবিলাসী বাঙালি। কেরল সরকারের আশ্বাস ঘুরে দাঁড়ানোর। তাই বাঙালির বড় অংশের আশা, দেড় মাসে সবকিছু বদলে যাবে বিলকুল। তাই কোনও বুকিং বাতিল নয়। আর একাংশ কেরল ছেড়ে কর্ণাটকমুখী। সেই অর্থে কেরলের সর্বনাশ, পড়শি রাজ্যের পৌষমাস।
[ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে শহরের বহুতলে দেদার নাইট পার্টি, আবগারি দপ্তরের জালে দুই]
মুন্নার থেকে আলাপুঝা, সবই জলের তলায় চলে গিয়েছিল। তাই বাঙালি ভেবেছিল, সব শেষ। পুজোর ছুটিতে কেরলের স্বর্গীয় আনন্দ লাভের কোনও আশা নেই। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যটন সংস্থাগুলির সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, এখানকার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ পুজোয় বেড়াতে যান কেরলে। এবারও মাস দুয়েক আগে বুকিং সেরে ফেলেছিলেন সকলেই। সেপ্টেম্বরে বুকিং আরও বাড়ত। বিশেষ করে কেরলের বিচ এলাকাগুলির বুকিং হয় শেষের দিকে। সেই বুকিং ছেড়ে দিলেও রাজ্যের মোট যে সংখ্যক পর্যটক পুজোয় বাইরে যান, তার ১৫ ভাগ কেরলমুখী হন তো বটেই। ভেসে যাওয়ার পরও সেই উৎসাহে ভাটা পড়েনি বলে দাবি বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার। তার উপর সেখানকার পর্যটন দফতর এক বার্তায় জানিয়েছে, “আমরা ঠিক গুছিয়ে নেব। হাতে তো মাস দেড়েক সময় রয়েছে। কেরলকে ভালবাসুন। কেরলে আসুন।”
হাউসবোট মানেই আলেপ্পি। চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ, চা বাগান, জলপ্রপাত মানেই মুন্নার। কোভালম বা কান্নুর বিচ, সবই ভেঙেচুরে একাকার। থাকার জায়গার অভাব। হাউসবোটে রাত কাটানোর অবস্থা নেই। তা হলে? মানুষ কোন ভরসায় যাবেন? পর্যটন দফতর বলছে, হাতে যা সময় তার মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর্থিক কারণেই সবকিছু দ্রুত ঠিক করা দরকার। পর্যটন এখন কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে পারে এখানকার ভেসে যাওয়া অর্থনীতিতে। তাই সমস্ত নথিভুক্ত পর্যটন সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে, পর্যটকদের নিরাশ করবেন না। ভরসা জোগান। কিন্তু ইন্ডিয়ান এজেন্ট অফ ট্যুর অপারেটর্সের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা দেবজিৎ দত্ত অবশ্য বলছে্ন, “কিছুটা ঠিক হলেও সবটুকু স্বাভাবিক হবে এই সময়ের মধ্যে এটা ভাবা আকাশকুসুম কল্পনা। তাই কেরলের নতুন বুকিংয়ের প্রশ্ন নেই। মানুষ অতটা ঝুঁকি নেবেন কেন? সেই দিক দিয়ে দেখলে কেরলের দিকে যে পর্যটকরা ঝুঁকেছিলেন, তাঁরা ছড়িয়ে যাবেন বিভিন্ন রাজ্যে। বাংলার দিকেও পা বাড়াবেন অনেকে।” ভিন্নমত অবশ্য আছে। ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের কর্তা প্রবীর সিংহরায় বলেন, “কেউ কেরল যাত্রা বাতিল করছেন না। বরং উৎসাহ বেড়েছে। আগ্রহ বেড়েছে। প্রচুর ফোন আসছে। সকলেই জানতে চাইছেন, পরিস্থিতি কেমন হবে। কিন্তু এখনও কেউ বলেননি, পুজোয় কেরল যাব না। হয়তো রাজ্যটার নাম কেরল বলেই আস্থা টাল খাচ্ছে না।”
[ ২৮ আগস্ট স্থগিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, আচমকা সিদ্ধান্তে তুঙ্গে বিতর্ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.