Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা জয়ী

নজিরবিহীন উদ্যোগ, উপসর্গহীন আক্রান্তদের সেবায় নিযুক্ত হলেন করোনা জয়ীরা

আক্রান্তদের মনোবল বাড়াতে অভিনব পদক্ষেপ করল আহমেদাবাদ পুর-প্রশাসন।

Five recovered persons volunteer to work at Corona center at Ahmedabad

ফাইল ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 13, 2020 11:51 am
  • Updated:April 13, 2020 11:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে এসেছেন ওঁরা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। এবার তাঁরাই এই যুদ্ধের সৈনিক। প্রশাসনের সঙ্গী হয়ে করোনা মোকাবিলা করবেন সদ্য সুস্থ হয়ে ওঠা পাঁচজন। উপসর্গহীন করোনা রোগীদের জন্য বিশেষ সেন্টার তৈরি করেছে আহমেদাবাদ পুরসভা। সেখানেই তাঁদের দেখভাল করবেন করোনা মুক্ত হওয়া ওই পাঁচজন। আহমেদাবাদ পুরসভার এহেন বেনজির পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন দেশবাসী।

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু বাড়ছে ক্রমশ। গুজরাটের আহমেদাবাদের পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করছে পুর প্রশাসন। একদিকে তাঁরা যেমন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে, তেমনই আবার উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের দেখভালের জন্য আলাদা সেন্টার তৈরি করেছে। আবার সেই সেন্টারে নিয়োগ করছেন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা পাঁচজনকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : করোনার জেরে ৩ দশকে সর্বনিম্ন হতে পারে ভারতের বৃদ্ধির হার, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাংকের]

আহমেদাবাদের পুর-কমিশনার বিজয় নেহরা জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়া রোগীদের দেহে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। ফলে রোগীদের সংস্পর্শে এলেও তাঁদের নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। সংশ্লিষ্ট পুরসভা করোনা রোগীদের জন্য বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করেছে। যেখানে ১৮-৬০ বছরের মধ্যে থাকা উপসর্গহীন করোনা রোগীদের রাখা হচ্ছে। এর ফলে হাসপাতালে বেশি সংখ্যক অসুস্থ রোগীদের ভরতি করা যায়। পুর-কমিশনার বিজয় নেহরা বলেন, “আমরা সদ্য সেরে ওঠা পাঁচজন করোনা আক্রান্তের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। তাঁর কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন। এরপরই তাঁদের ওই সেন্টারে নিয়োগ করার সিন্ধা নেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদে ২৪৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৩০ জনকে ওই বিশেষ সেন্টারে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞান বলছে, যারা করোনাকে হারিয়ে ফিরেছেন তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ফলে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। পাশাপাশি এই যুদ্ধে জয়ীরা আক্রান্তদের পাশে থাকলে তাঁদের মনোবল বাড়বে। ফলে এই লড়াই করা আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এই যোদ্ধাদের জন্য উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলেই খবর।

[আরও পড়ুন : HDFC’র শেয়ার কিনল চিনের শীর্ষ ব্যাংক! উদ্বেগ প্রকাশ রাহুল গান্ধীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement