সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও ভিভিআইপির সফরের আগে নিরাপত্তায় যে বিশেষ নজর দেওয়া হয়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেউ বিস্ফোরক রাখছে কি না কিংবা নাশকতা ছড়াতে পারে কি না, সে দিকেই নজর থাকে নিরাপত্তারক্ষীদের। কিন্তু বাঁদর নিরাপত্তারক্ষীদের সমস্যায় ফেলতে পারে, সেকথা শুনেছেন কখন? ট্রাম্পের তাজমহল সফরের আগে বাঁদরই এখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুঁদে আধিকারিকদের কপালের চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে। বাঁদরের উপদ্রব এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ট্রাম্পের তাজমহল সফর শেষ করাই যেন একমাত্র চ্যালেঞ্জ তাঁদের।
দু’দিনের জন্য সোমবারই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওইদিনই স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে আগ্রার তাজমহল দর্শনের কথা রয়েছে তাঁর। তাই আগ্রায় সাজো সাজো রব। নিরাপত্তা থেকে সৌন্দর্যায়ন সব কাজই শেষ। বাড়ানো হচ্ছে তাজমহলের নিরাপত্তা। ট্রাম্পের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে ১০ কোম্পানি আধাসেনা, ১০ কোম্পানি পিএসি এবং এনএসজি কম্যান্ডো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তাজমহল সফরের প্রধান সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁদর। ওই বন্যপ্রাণীরা কখন যে কি করে বসবে, তা বোঝার ক্ষমতা কারও নেই। হনুমানের উপদ্রবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তাজমহল দেখা বানচাল না হয়ে যায়, সেই চিন্তাই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুঁদে আধিকারিকদের রাতের ঘুম কেড়েছে। বাঁদরকে কীভাবে রোখা সম্ভব, তা কিছুতেই ঠিক করতে পারছেন না নিরাপত্তাকর্মীরা।
তাজমহলের ‘অবাধ্য’ বাঁদরদের নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্বে রয়েছে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স (CISF) ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)। শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ আধিকারিকরা। তবে সম্প্রতি বাঁদরের বাঁদরামি রুখতে, তাদের ভয় দেখাতে CISF’র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে গুলতিও। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে ইউনাইটেড স্টেটস সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরাই। তাই সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে বাঁদরের আগমন হলে তা কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের। তাজমহলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক CISF সদস্য আবার জানান, “একটি বা একজোড়া বাঁদরকে গুলতি দিয়ে ভয় দেখানো সহজ। কিন্ত দল বেঁধে আসলে সেক্ষেত্রে গুলতি কোনও কাজে আসে না।” স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “বাঁদরের উৎপাতে এলাকার মহিলার ও শিশুরা অতিষ্ট। কারণ অধিকাংশ বাড়ির ছাদই বাঁদরের দখলে। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কনভয় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে এক দল বাঁদর চলে আসলে তা সত্যিই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াবে।” তিনি আরও জানান, বাঁদরের জন্মনিয়ন্ত্রণ রুখতে প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে লাভ হয়নি।
বাঁদর রুখতে পাঁচটি বিশেষ প্রজাতির বাঁদরকে (লাঙ্গুর) নিয়োগ করেছেন নিরাপত্তার আধিকারিকরা। ওই পাঁচটি বিশেষ প্রজাতির বাঁদর আদৌ বাঁদরদের উপদ্রব রুখে মুখরক্ষা করতে পারে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে দুঁদে আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.