সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যে ঐক্যের ছবি ধরা পড়েছিল, রাজস্থানে গেহলট বা মধ্যপ্রদেশে কমল নাথদের শপথগ্রহণে সেই ছবির দেখা মিলল না। বিরোধী ঐক্যের দামামা বাজিয়ে মোদিকে চ্যালেঞ্জ করছিলেন যারা, সেই মমতা-অখিলেশরাই কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তাতেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই মাসের ১০ তারিখ দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের বৈঠক ছিল। চন্দ্রবাবু নাইডুর ডাকা সেই বৈঠকে অংশ নেননি উত্তরপ্রদেশের দুই হেভিওয়েট নেতা অখিলেশ যাদব বা মায়াবতীর কোনও প্রতিনিধি। অন্য বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার পথেই হাঁটছেন তাঁরা। যদিও, তিন রাজ্যের ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর কংগ্রেসকে নিঃস্বার্থ সমর্থনের কথা ঘোষণা করে দুই দলই। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে মায়াবতীর সমর্থনেই সরকার গড়ছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ কমল নাথকে সমর্থন করেছেন অখিলেশের দলের এক বিধায়কও। অথচ, কমল নাথ বা অশোক গেহলটের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দুই নেতার কেউই হাজির হননি। কোনও প্রতিনিধিও পাঠাননি তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও, তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন পারিবারিক সমস্যার জন্য জয়পুরে হাজির থাকতে পারবেন না তিনি। তাঁর পরিবর্তে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তবে মেগা শপথগ্রহণে তিন আঞ্চলিক হেভিওয়েটের অনুপস্থিতি বিরোধী জোটের ঐক্যে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
রবিবারই তামিলনাড়ুতে করুণানিধির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু স্ট্যালিনের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে অন্য বিরোধীরা। তৃণমূল, সপা-বসপা-সহ একাধিক বিরোধীর দাবি, এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কোনও নাম প্রকাশ্যে আনা বোকামি। রাহুল কেন, কারও নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নন তাঁরা। এসবের মধ্যে কংগ্রেসের স্বস্তির খবর, এই তিন নেতা ছাড়া বাকি সব বিজেপি বিরোধী দলের নেতারাই এদিন হাজির ছিলেন। রাজস্থানে গেহলটের শপথ মঞ্চে দেখা গেল, টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু, এনসিপির শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, আরজেডির তেজস্বী যাদব, জেডিএস এর এইচ ডি দেবেগৌড়া এবং কুমারস্বামী, এলজেপির শরদ যাদব, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বাবুলাল মারান্ডি, এআইইউডিএফের বদরুদ্দিন আজমলকে। এদের অধিকাংশ কোনও না কোনও সময় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র অংশ ছিল। তবে, আপ নেতা সঞ্জয় সিং-এর উপস্থিতি আলাদা তাৎপর্য রাখে। তবে, এই নেতাদের উপস্থিতি কংগ্রেসকে যতটা আশ্বস্ত করবে, তার থেকে বেশি চিন্তিত করবে মমতা-মায়াবতী-অখিলেশদের অনুপস্থিতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.