ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার গুরুতর অভিযোগ পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। নিরামিষ পণ্য হিসেবে দাবি করা হলেও পতঞ্জলির এক দাঁত মাজনে মাছের নির্যাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এই আইনজীবী। এই ঘটনায় নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।
পতঞ্জলি নামের সংস্থার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পণ্য ‘দিব্য দন্ত মঞ্জন’। সংস্থার দাবি এই পণ্য সম্পূর্ণ নিরামিষ। সেই মতো পণ্যের গায়ে লাগানো হয়েছে সবুজ লেভেল। তবে যতীন শর্মা নামে এক আইনজীবীর দাবি, ওই মাজন মাছের নির্যাস দিয়ে তৈরি। দিল্লি হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলাও দায়ের করেছেন আইনজীবী। তাঁর দাবি, ‘সমুদ্রফেন’ নামে এক সামুদ্রিক মাছ ব্যবহার করা হয়েছে মাজনে। এটা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত বলে অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। গুরুতর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই-এর জবাব তলব করেছে। পাশাপাশি এই বিষয়ে জবাব চেয়ে পতঞ্জলিকেও আলাদা করে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছে রামদেব ও বালাকৃষ্ণের সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের অভিযোগে একাধিকবার সতর্ক করার পরও না শোধরানোয় রামদেবের সংস্থার ১৪টি পণ্যের বিজ্ঞাপন সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স উত্তরাখণ্ড সরকার বাতিল করেছিল, সেই পণ্যগুলি বিক্রিও বন্ধ করেছে সংস্থা। পতঞ্জলির পাঁচ হাজারের বেশি স্টোর থেকে পণ্যগুলি ইতিমধ্যেই সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিজ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে।
একের পর এক প্রতারণা, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মাঝেই এবার পতঞ্জলির বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। অবশ্য দাঁত মাজনে মাছের নির্যাস ব্যবহারের অভিযোগ এর আগেও উঠেছিল পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। সেবার অবশ্য তা নিয়ে মুখ খোলেনি সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.