Advertisement
Advertisement

Breaking News

কোভ্যাক্সিন

অপেক্ষার অবসান! ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে শুরু হচ্ছে ‘কোভ্যাক্সিনে’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল

স্বেচ্ছাসেবীদের না জানিয়েই তাঁদের শরীরে দেওয়া হয়েছে দেশের প্রথম 'করোনার টিকা'।

First phase trial of Covaxin starts on 375 people, says report

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 18, 2020 10:40 am
  • Updated:July 19, 2020 11:17 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার যে ‘টিকা’ ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে ভারতবাসী, সেই কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়ে গেল। সূত্রের খবর, দেশের মোট ১২টি প্রথম সারির হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হবে। প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) সূত্রের খবর, গত ১৫ জুলাই’ই স্বেচ্ছাসেবীদের এই প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে। আপাতত প্রথম পর্যায়ের ফলাফলের অপেক্ষায় গবেষকরা।

কোনও ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে পারে। প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। ভাইরোলজিস্টদের মতে, বয়স, বর্ণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষে বহু মানুষের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়। মোট তিন ধাপে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ‘কোভ্যাক্সিনে’র প্রথম দু’ধাপের ট্রায়ালের জন্য মোট ১,১০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যেই ৩৭৫ জনের শরীরে প্রথম ধাপে পরীক্ষা হচ্ছে। দস্তুর মেনে ‘ডবল ব্লাইন্ড’ পদ্ধতি মেনে বেছে নেওয়া হবে এই ৩৫৭ জনকে। অর্থাৎ, ঠিক কাদের কাদের শরীরে ‘কোভ্যাক্সিন’ দেওয়া হচ্ছে, তা স্বেচ্ছাসেবীরাও জানবেন না, আবার গবেষকরাও জানবেন না। পুরো ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরই জানা যাবে, কাদের কাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তোলাবাজির ‘ভুয়ো’ অভিযোগে গ্রেপ্তার সাংবাদিক, ‘আতঙ্কে’ মৃত্যু বাবার, প্রতিবাদের ঝড় অসমে]

প্রথম পর্যায়ের এই ট্রায়ালে খতিয়ে দেখা হবে, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে রোগীর শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কিনা। আশানুরূপ ফল ‘ভ্যাকসিন’টির পেলেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যাবে ICMR। এই পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজন ৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর। আইসিএমআরের দাবি, ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনেই এগোনো হচ্ছে। যেভাবে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আনা প্রয়োজন। তবে কোনও ক্ষেত্রেই প্রাণের ঝুঁকি নেওয়া হবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement