সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অগ্নিকাণ্ড৷ তবে এই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
নৌসেনা সূত্রে খবর, শনিবার সকালে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীটিতে আগুন লাগে। নাবিকদের থাকার জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। তবে সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। ঘটনার সময় জাহাজটি কর্ণাটকের কারওয়ার বন্দরে ছিল। কী কারণে জাহাজটিতে আগুন লেগেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে নৌবাহিনী। বলে রাখা ভাল, ভারতীয় নৌসেনার গর্ব এই রণতরীটি ২৮৪ মিটার লম্বা। এতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কর্মী। ফলে জাহাজটিকে কার্যত একটি ভাসমান শহর বা বায়ুসেনা ঘাঁটি বলা যেতে পারে। রণতরীটিতে রয়েছে প্রায় ৩৬টি যুদ্ধবিমান। সব মিলিয়ে শত্রুর বুকে কাঁপন ধরাতে এই জাহাজটি যথেষ্ট। ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানকে রুখে দিতে ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ‘বিক্রমাদিত্য’।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-তে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রমাদিত্য৷ রুশ নির্মিত এই রণতরীতে রয়েছে অত্যাধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, বারাক মিসাইল-সহ একাধিক ঘাতক অস্ত্র৷ ১৯৮৭-তে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌসেনায় ‘বাকু’ নামে এই জাহাজটি অন্তর্ভুক্ত হয়৷ এরপর ১৯৯২-তে ‘অ্যাডমিরাল গর্শকভ’ নামে এটি অন্তর্ভুক্ত হয় রুশ সেনায়৷ ১৯৯৬ পর্যন্ত রুশ সেনায় কাজ করার পর, ভারতের কাছে জাহাজটি বিক্রির প্রস্তাব দেয় রাশিয়া৷ এই যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য থেকেই ভূমি থেকে আকাশে হামলায় সক্ষম বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা করে ভারত। আরব সাগরে হওয়া এই পরীক্ষায়, খুবই নীচ থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বারাক-৮। যার ফলে ভারতের নৌবাহিনী এবং এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের শক্তি আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.