সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাইজাগ গ্যাস লিকের ঘটনায় এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর। গোপালনাথন থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৮, ২৮৪, ৩৩৭, ৩৩৮ ও ৩০৪-২ ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
গতকাল বা বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনমের এলজি পলিমারস ফিরিয়ে আনে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার ট্র্যাজেডি। ওই কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বিষাক্ত গ্যাস স্টাইরিনের প্রভাবে অসুস্থ হাজার খানেক মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টাইরিন গ্যাস এবং ভোপাল দুর্ঘটনার ভিলেন মিথাইল আইসোসায়ানেটের প্রকৃতি পৃথক। যদিও ভয়াবহতায় কারও কোনও কমতি নেই। প্লাস্টিক তৈরির কারখানায় অতি প্রয়োজনীয় স্টাইরিন একটি এলাস্টোমার। হালকা সুগন্ধযুক্ত এই গ্যাস কিন্তু এক নিমেষে কাবু করে ফেলতে পারে অনেককে। ভাইজাগের কারখানাতেও যা ঘটেছে। স্টাইরিনের প্রভাব আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, অভিযোগ দায়ের হলেও তদন্তের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কাণ্ডে আজও ন্যায় পাননি ভুক্তভোগীর। আশ্চর্যজনকভাবে বহু বছর ধরে মামলা চললেও কোনও সাজা হয়নি ইউনিয়ন কার্বাইডের তৎকালীন শীর্ষ কর্তা ওয়ারেন অ্যাণ্ডারসনের। ২০১৪ সালে আমেরিকায় ৯২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। অ্যাণ্ডারসনের সঙ্গেই কবরে চলে যায় ওই দুর্ঘটনার অনেক অজানা তথ্য। ফলে এলজি পলিমারসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন মামলা চললেও আদৌ কি দোষীরা সাজা পাবে, তা সময়ই বলবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানায় গ্যাস লিকের দুর্ঘটনা শিল্পের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর ঘটনার তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছিল। মারাত্মক বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেটের (Methyl isocyanate) প্রভাবে আজও ভুগতে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। আজও ভোপালের ওই কারখানা সংলগ্ন এলাকায় অপুষ্টি, দৈহিক সমস্যা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখে নবজাতকরা। ভাইজাগের দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কি এর চেয়ে কম? এই প্রশ্নের উত্তর দেবে ভাবীকাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.