সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে (Hathras) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১-এ পৌঁছেছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন শতাধিক মহিলা ও ৭টি শিশু। আহত ২৮। ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে এফআইআর। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির নাম নেই! রয়েছে তাঁর ‘মুখ্য সর্দার’ অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সহকারীর নাম। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আয়োজকরা সৎসঙ্গের প্রকৃত দর্শকসংখ্যা লুকিয়েছিলেন অনুমতি নেওয়ার সময়।
স্থানীয় প্রশাসন ৮০ হাজার জনের জমায়েতে অনুমোদন দিলেও জানা যাচ্ছে, উপস্থিত ছিলেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। আরও অভিযোগ, আয়োজকরা ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টে যেমন সহযোগিতা করেননি তেমনই পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রমাণ লোপের চেষ্টাও করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অনুষ্ঠান শেষ হলে একদল বেরিয়ে যেতে চান। বাকি দলটা উলটো স্রোতে হেঁটে এগিয়ে যান বাবার পায়ের ধুলো নিতে। এতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয়েছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে তিনি। পাশাপাশি নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ কমিটি গড়ার। এদিকে ধর্মগুরু ভোলেবাবার কোনও সন্ধান মেলেনি বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।
তবে এই পরিস্থিতির জন্য ভোলে বাবাকে দায়ী করছেন না আক্রান্তদের পরিবারের কেউ কেউ। পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন কারপুরী চান্দ। তাঁরই পরিবারের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ”যেখানে মহিলারা বসেছিলেন সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমিও ওখানে ছিলাম। তদন্ত করে দেখা হোক এর জন্য কে দায়ী। কিন্তু আমি মনে করি না এতে বাবার কোনও দোষ আছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.