সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণখেলাপিদের ঋণ মকুবের তালিকা নিয়ে এবার সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দেশের ৫০ জন বৃহত্তম ঋণখেলাপির প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। খোদ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)এই অভিযোগ করেছেন। যার জবাবে আবার মুখ খুলেছেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। তাঁর সাফ কথা, কারও কোনও ঋণ মকুব করা হয়নি। সবার সঙ্গেই ঋণের টাকা উশুল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বভাবসিদ্ধভাবে দেশবাসীকে ভুলপথে চালনা করছে কংগ্রেস।
संसद में मैंने एक सीधा सा प्रश्न पूछा था- मुझे देश के 50 सबसे बड़े बैंक चोरों के नाम बताइए।
वित्तमंत्री ने जवाब देने से मना कर दिया।
अब RBI ने नीरव मोदी, मेहुल चोकसी सहित भाजपा के ‘मित्रों’ के नाम बैंक चोरों की लिस्ट में डाले हैं।
इसीलिए संसद में इस सच को छुपाया गया। pic.twitter.com/xVAkxrxyVM
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 28, 2020
সাকেত গোখলে নামের এক RTI কর্মী দেশের শীর্ষ ৫০ জন ঋণখেলাপির নাম এবং তাঁদের বর্তমান ঋণের পরিমাণ জানতে চেয়ে একটি RTI ফাইল করেন। যার উত্তরে শীর্ষ ব্যাংক জানিয়েছেন, “শীর্ষ ৫০ জনে ঋণখেলাপির কাছে ৬৮ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা পাওনা আছে ব্যাংকগুলির।” এই তালিকায় সবার উপরে আছে বিতর্কিত অলংকার ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) নাম। তালিকায় আছে বাবা রামদেব (Ram Dev) এবং আচার্য বালাকৃষ্ণর সংস্থা রুচি সোয়া ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডও। রিজার্ভ ব্যাংকের দেওয়া এই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই সেটি হাতিয়ার করে সরকারকে তোপ দাগে কংগ্রেস। দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী দাবি করেন, তিনি অনেক আগেই সরকারের কাছে শীর্ষ ঋণখেলাপিদের তালিকা চেয়েছিলেন। কিন্তু এই তালিকায় বহু বিজেপি ঘনিষ্ঠদের নাম থাকায় সরকার তা দেয়নি। কংগ্রেসের অন্য নেতারাও আসরে নামেন। সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং ধনীদের স্বার্থরক্ষার অভিযোগ আনেন তাঁরা।
এরপরই রাহুলদের সেই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কংগ্রেসকে জবাব দিতে মোট ১৩টি টুইট করেন তিনি। যার সারমর্ম হল, কারও কোনও ঋণ বাতিল করা হয়নি। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সামর্থ্য থাকা সত্বেও ব্যাংকের ঋণ শোধ করছে না। বা এক সংস্থার টাকা অন্য সংস্থায় সরিয়ে ফেলছে তাঁদের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকায় আনা হয়েছে মাত্র। তাছাড়া রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ৪ বছর পর্যন্ত কেউ ঋণের টাকা না দিলে সেটিকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপের তালিকায় ফেলতে হয়। এই তালিকায় নাম উঠেছে মানেই ঋণ মকুব নয়। সরকার ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে পয়সা উশুল করার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। নির্মলার অভিযোগ, এই ঋণগুলির বেশিরভাগ দেওয়া হয়েছিল ২০০৬-০৮ সালের মধ্যে। অথচ, এখন যথারীতি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে কংগ্রেস।
@INCIndia and Shri.@RahulGandhi should introspect why they fail to play a constructive role in cleaning up the system. Neither while in power, nor while in the opposition has the @INCIndia shown any commitment or inclination to stop corruption & cronyism.
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) April 28, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.