Advertisement
Advertisement

নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ আজ, কড়া নিরাপত্তা অসমে

শিকেয় ঝুলছে ১.৫ কোটি মানুষের ভাগ্য।

Final NRC list to be declared today In Assam
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 30, 2018 9:25 am
  • Updated:July 30, 2018 9:32 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ অর্থাৎ সোমবার প্রকাশ হতে চলেছে অসমের নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত খসড়া। চূড়ান্ত আশঙ্কায় প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ। আজকের তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে তাঁদের বৈধ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে।

অসমে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) বা নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বিদেশি, বিশেষ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বের করতেই এই উদ্যোগ। তবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে চরমে বিতর্ক। অভিযোগ, বিদেশি বিতাড়নের নামে অসমে বসবাসকারী সংখ্যালঘু বাংলাভাষীদের হয়রানি করা হচ্ছে। নলবারি, গোয়ালপারা, ধুবরি, বরপেটা জেলায় কয়েক হাজার মানুষকে বিদেশি হিসেবে নোটিস জারি করা হয়েছে। ওই ‘ডি-ভোটার’রা নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে না পারলে তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। তারপর ট্রাইবুনালের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশি প্রমাণ হলে বিতাড়নের ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

মা-বাবার দেখভাল না করলে বেতনে কোপ, অসমে চালু হচ্ছে নয়া আইন ]

বিশেষজ্ঞদের মতে, চূড়ান্ত খসড়ায় কয়েক লক্ষ বাংলাভাষী মুসলিমদের নাম বাদ যেতে পারে। এর কারণ যাচাইয়ের সময় এঁদের অনেকেই পঞ্চায়েতের পরিচয়পত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে ওই নথি মানতে নারাজ এনআরসি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বহু সংখ্যক বাংলাভাষী মুসলিমদের পরিচয়পত্র জাল বলেও অভিযোগ। এনআরসি প্রক্রিয়া অসমে বাঙালিদের উপর আক্রমণ বলে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। যদিও অসমের বাঙালিরাই এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছেন। ‘বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন’-এর এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের দৌরাত্ম অসমে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনুপ্রবেশকারীদের না তাড়ালে রাজ্য ও দেশ দুইয়েরই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

এদিকে তালিকা প্রকাশকে নজরে রেখে সমস্ত রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরাল করে তোলা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনা ও সিআরপিএফ জওয়ানদের। ছ’টি জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তালিকা থেকে নাম কাটা পড়লে বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছে এআইইউডিএফ-সহ একাধিক মুসলিম সংগঠন। উল্লেখ্য, ১৯৫১ সালের পর এই দ্বিতীয়বার নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হচ্ছে। আবেদনকারীদের ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। ওই সময়সীমার আগে যাঁরা অসমে এসেছেন তাঁদের বৈধ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে।

[মা-বাবার দেখভাল না করলে বেতনে কোপ, অসমে চালু হচ্ছে নয়া আইন]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement