Advertisement
Advertisement

কে দেশি, কে বিদেশি! উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে ৪১ লক্ষ অসমবাসী

শনিবার অসমে প্রকাশিত হতে চলেছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা।

Final Assam NRC list to be published on August 31
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 30, 2019 11:35 am
  • Updated:August 30, 2019 11:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামীকাল, অর্থাৎ ৩১ আগস্ট অসমে প্রকাশিত হতে চলেছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা। কে দেশি, কেই বা বিদেশি? এই প্রশ্ন ও উৎকণ্ঠা নিয়েই আজ দিন কাটছে বহু মানুষের। আগেই খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৪১ লক্ষ মানুষের নাম।

[আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে স্টেশনে ঢুকলেই হবে জরিমানা, নয়া নির্দেশিকা রেলের]

Advertisement

আগামীকাল সকাল ১০টায় অনলাইনে প্রকাশিত হবে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা। যাঁরা ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করেন না। তাঁর কাছের এনআরসি সেবাকেন্দ্রগুলিতে (এনএসকে) গিয়ে সেই তালিকা দেখতে পাবেন। তবে  ‘নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকলেই তিনি বিদেশি হয়ে যাবেন না’-এই মর্মেই নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সচেতনতা বার্তা দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  অসমের খসড়া নাগরিকপঞ্জিতে যাঁদের নাম নেই তারা পুনরায় ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন, জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে যাঁদের নাম তাঁরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সময়সীমা ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে ।      

উল্লেখ্য, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কথা ছিল ৩১ জুলাই। তবে  শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তা পিছিয়ে আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ করা হয়। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার আবেদনের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের। আগামী ৭ অগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চ। তবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং বাদ পড়াদের মধ্যে ২০ শতাংশ নাগরিকের তথ্যপঞ্জি নতুন করে খতিয়ে দেখার যে আরজি করেছিল কেন্দ্র এবং অসম সরকার, সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

কেন্দ্র এবং অসম সরকারের দাবি ছিল, জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে এমন অনেকেই বাদ পড়েছেন, যাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক। আবার অনেক অনুপ্রবেশকারী বা প্রবাসীও তালিকায় ঢুকে পড়েছেন। বিশেষত অসম-বাংলাদেশ সীমান্তের কিছু এলাকায় স্থানীয় আধিকারিকদের যোগসাজশে এমনটা হয়েছে। তাই আরও অন্তত ২০ শতাংশ নাগরিকের নথিপত্র খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। সেই জন্যই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তাই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক।   

[আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! গজনভি মিসাইল উৎক্ষেপণের কথা ভারতকে জানিয়েছিল পাকিস্তানই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement