সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অশান্ত উপত্যকা। সেনার গুলিতে নিকেশ দুই জঙ্গি। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালের সাতোরায় রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। ত্রালের সাতোরা গ্রামে জঙ্গিরা ঘাঁটি গাড়ে। সেনার কাছে এমন খবর ছিল। তিন-চার জনের জঙ্গি দলটিকে ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। শুরু হয় এনকাউন্টার।
বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর। পাক মদতে বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের একাংশকে বিভ্রান্ত করে চলেছে রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্ম। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। সেনার কাছে খবর আসে ত্রালের সাতোরা গ্রামে ডেরা বেঁধেছে জঙ্গিরা। সেখানে রয়েছে তিন থেকে চার জনের জঙ্গি দল। রাতে ওই গ্রামে সেনা অভিযান চালায়। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সতর্ক করা হয় বাসিন্দাদের। বিপদ বুঝতে পেরে জঙ্গিরা একটি বাড়ি থেকে গুলি চালাতে থাকে। পালটা জবাব দেয় বাহিনী। রাতভর গুলির লড়াইয়ের পর দুই জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয় সেনা। নিহতদের পরিচয় মেলেনি। তবে জঙ্গিদের গুলিতে সেনাবাহিনীর কোনও ক্ষতি হয়নি। গ্রামবাসীরাও সুরক্ষিত বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। বাকি দুই জঙ্গি কী অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কোন জঙ্গি সংগঠন এর নেপথ্যে রয়েছে তার উত্তর এখনও মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এই ত্রালে এনকাউন্টারে নিহত হয় হিজবুল কমান্ডার শবজর আহমেদ ভাট। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর শবজর সংগঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিল। শবজর নিহত হওয়ার পর থেকে ত্রালে হিজবুলের সংগঠন অনেকটা ভেঙে পড়ে। প্রভাব বাড়াতে হিজবুল জঙ্গিরা নতুন করে সক্রিয় হয়। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার ও নতুন প্রজন্মকে তাদের দলে টানা ছিল কাজ। সেনা সূত্রে খবর, এমনই এক মিশনে তিন-চারজনের জঙ্গি দলটি গ্রামে ঢুকেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.