Advertisement
Advertisement
Babri masjid demolition verdict

‘মসজিদ ভাঙার দিনের মতোই অপমানিত বোধ করছি’, বাবরির রায়ে মন্তব্য ওয়েইসির

আজ বিচারব্যবস্থার জন্য কালো দিন, বলছেন এআইএমআইএম সুপ্রিমো।

Feeling same humiliation I felt on December 6, 1992: Asaduddin Owaisi । Sangbad Pratidin
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 30, 2020 4:49 pm
  • Updated:September 30, 2020 6:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, মসজিদ ভাঙার দিন যেরকম অপমানিত বোধ করছিলাম আজও সেই একই অনুভব হচ্ছে।’ বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বুধবার এই মন্তব্যই করলেন এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

বুধবার দুপুরে বহুপ্রতীক্ষিত বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় (Babri masjid demolition verdict) দেন লখনউের বিশেষ সিবিআই আদালত। ৩২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়ে জানায়, ওই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। আদালতের এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানীকে আক্রমণ করেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। বলেন, ‘হিংসা ওনাকে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। আপনারা সবাই খুব ভাল করেই জানেন যে যখনই আডবানী রথযাত্রা বের করেছেন তখন রক্তপাত ঘটেছে। তাই এই রায় হিন্দুত্ববাদের যারা অনুগামী একমাত্র তাদেরই সন্তুষ্ট করবে। আমি তো ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যেরকম অপমানিত বোধ করছিলাম সেরকমই অনুভব করছি।’

[আরও পড়ুন: যোগীর উপর ‘বিশ্বাস’ আছে! হাথরাসের ধর্ষকদের এনকাউন্টারের দাবি কঙ্গনার ]

এরপরই সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল একটি প্রার্থনার জায়গাকে ধ্বংস করার জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে যদি এই ঘটনার ফলে আইনভঙ্গ না হয়ে থাকে তাহলে কি ডিসেম্বরের ৬ তারিখ জাদু বলে মসজিদটি ধ্বংস হয়েছিল? ১৯৪৯ সালের ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর রাতে কি ওখানে জাদুর সাহায্যে মূর্তিগুলি রাখা হয়েছিল? রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন জাদুর সাহায্যে তালা খোলা হয়েছিল?’

আজ ভারতের বিচার ব্যবস্থার ‘কালো দিন’ বলে দাবি করে এই রায় অভিযুক্তদের সাহস যোগাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন হায়দরাবাদের সাংসদ। আরও বলেন, ‘আদালতের রায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ না করা মানেই তাকে অবমাননা করা নয়। আমরা আশা করব নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য সিবিআই (CBI) এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবে। তা যদি না হয় তাহলে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় অভিযুক্তরা কাশী এবং মথুরার ক্ষেত্রেও একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি করবে।’

অন্যদিকে এই রায়ের সমালোচনা করেন কংগ্রস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘বাবরি ধ্বংসের মামলায় সমস্ত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে সুপ্রিম কোর্টের রায় ও সংবিধানের ঐতিহ্যকে আঘাত দিয়েছে সিবিআইয়ের আদালত। কারণ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছিলেন। দেশের সংবিধান ও সম্প্রীতির আদর্শে বিশ্বাসী সমস্ত ভারতীয় চান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে।’

[আরও পড়ুন: ‘আমরা মন্ত্র উচ্চারণ করছিলাম, বাবরি ভাঙার ষড়যন্ত্র করিনি’, দাবি সাধ্বী ঋতম্ভরার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement