ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন (Lockdown) তো শেষ। আনলক পর্বেও ঘর থেকে বেরনো বারণ। একান্তই বাইরে বেরলেও ফিরেই স্নান করতে হবে। দিনের পর দিন শাশুড়ির আচরণে মেজাজ হারিয়ে অবশেষে তাঁকে খুনের (Murder) অভিযোগে কাঠগড়ায় বউমা। ঘটনা গুজরাটের (Gujarat)। খুনের এক সপ্তাহ পরে পুলিশের কাছে নিজের অপরাধের ‘মোটিভ’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে অভিযুক্ত। জানিয়েছে, লকডাউনের সময় থেকেই মেজাজ ভাল ছিল না তার।
গুজরাটের আহমেদাবাদের গোটা শহরের বাসিন্দা অভিযুক্ত নিকিতা আগরওয়ালের বয়স ৩০। সে এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার দাবি, শাশুড়ি রেখা এক জটিল মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এই অসুখের বৈশিষ্ট্যই হল, এক কাজ বারবার করা। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, এই দাবি সঠিক। এক মনোবিদ চিকিৎসাও করছিলেন রেখার। লকডাউনের সময় থেকেই তাঁর অস্থিরতা আরও বেড়েছিল। ফলে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। নিকিতা জানিয়েছে, সে বাড়ি থেকে খুব বেশি হলে পাঁচ-ছ’বার বেরত। কিন্তু প্রতিবার সে বেরলে অথবা কারও সঙ্গে কথা বললেও রেখা এসে তাকে স্নান করার জন্য জোর করতেন। এই পরিস্থিতি ক্রমশ তার কাছে ‘অসহ্য’ হয়ে উঠেছিল বলে দাবি নিকিতার।
এখানেই শেষ নয়। ঘটনার দিন শাশুড়ি একটি লোহার রড দিয়ে তাকে মারার চেষ্টাও করেন বলে জানাচ্ছে নিকিতা। তার দাবি, এরপরই সে শাশুড়ির হাত থেকে রড কেড়ে নিয়ে সেটা দিয়েই তাঁর মাথায় আঘাত করে। তাতেই রেখার মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, এমনিতেই জন্মসূত্রে রাজস্থানের নিকিতার সঙ্গে নিজের মানসিক অসুস্থতার কারণে মানিয়ে চলতে পারতেন না রেখা। দু’জনের মধ্যে একটা দূরত্ব ছিলই। তার উপর বউমার গর্ভবতী হওয়ার খবরে শাশুড়ি সন্দেহ করতে শুরু করেন, এই সন্তান নিকিতার শ্বশুরের। সেই কারণেই তিনি বউমার উপরে আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ফলে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছিল।
লকডাউনের সময় থেকেই গার্হস্থ্য হিংসা বাড়ার কথা জানা গিয়েছে। বেকারত্ব থেকে শুরু করে আরও নানা কারণে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তার ফলশ্রুতিতে দেশে ঘটছে এই ধরনের নানা অনভিপ্রেত মর্মান্তিক ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.