Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mumbai

ছেলের BMW পিষে দিয়েছে মহিলাকে, চাপের মুখে বাবাকে দল থেকে ছাঁটল শিব সেনা

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের নির্দেশেই বহিষ্কার রাজেশ শাহ।

Father of Mumbai hit-and-run accused removed from Shiv Sena
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 10, 2024 3:50 pm
  • Updated:July 10, 2024 8:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: ছেলে মিহির শাহর বিলাসবহুল BMW পিষে দিয়েছিল এক মহিলাকে। চাপ বাড়ছিল দলের উপরে। কারণ শিব সেনা নেতা রাজেশ শাহর ছেলে মিহির। শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের (Eknath Shinde) নির্দেশে ছেলের কাণ্ডে বাবা রাজেশকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। উল্লেখ্য, তিন দিন গা ঢাকা দেওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হন মূল অভিযুক্ত মিহির। গত রবিবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজেশ। এর পরই দল থেকে ছেঁটে ফেলা হল নেতাকে। যদিও পরে জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি।

বছর চব্বিশের মিহিরকে মঙ্গলবার ব্রিহারে একটি রিসর্ট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, গত শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে জুহুর একটি বারে মদ্যপান করেন তিনি। এর পর ‘লং ড্রাইভে’ নিয়ে যেতে বলেন ড্রাইভারকে। ওরলিতে পৌঁছনোর পর নিজেই গাড়ি চালাবেন বলে জেদ ধরেন। মিহির স্টিয়ারিংয়ে বসার কিছুক্ষণ পরেই একটি স্কুটারে ধাক্কা মারেন। স্কুটারে ছিলেন মাছ বিক্রেতা প্রদিক নাকভা এবং তাঁর স্ত্রী কাবেরী নাকভা। অন্য দিনের মতোই রাতে মুম্বই বন্দরে পাইকারি বাজারে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। মিহিরের গাড়ি পিষে দেয় কাবেরীকে। প্রদিক অল্প আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। এই মামলায় আগেই ১২ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। কেবল অধরা ছিলেন মিহির। মঙ্গলবার তাঁকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement

 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ত্রিশঙ্কু ভোটের ফল, ফ্রান্সে মুখ পুড়ল প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর]

পুলিশের দাবি, মিহির স্বীকার করেছেন দুর্ঘটনার আগে চালকের আসনে তিনিই ছিলেন। দাড়ি কামিয়ে চেহারা বদলে পালানোর চেষ্টাও করেন। মিহিরের বাবা রাজেশ শাহ যে মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডের ঘনিষ্ট তা আগেই জানা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের চাপের জেরে রাজেশকে দল থেকে ছেটে ফেলল শিব সেনা। কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার দাবি করেছিলেন, ”সরকার ও পুলিশ ইস্যুটাকে চেপে দিতে চাইছে। মিহিরকে ইচ্ছা করেই আগে গ্রেপ্তার করা হয়নি, কারণ উনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তখন পরীক্ষা করলে রক্তে অ্যালকোহল পাওয়া যেত। আমি বলছি, পুলিশই ওঁকে লুকিয়ে রেখেছিল। যখন দুবার পরীক্ষা করেও রক্তের নমুনায় কিছু পাওয়া গেল না, তখনই ওঁকে ধরা হল। এই মামলায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” 

 

[আরও পড়ুন: ‘রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব কখনও মাইনাসে নামবে না’, মস্কোয় মন্তব্য মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ