সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীরব বিপ্লব। কিংবা অভূতপূর্ব গণ অভ্যুত্থান। নানামহলে এভাবেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের কৃষক আন্দোলনকে। সংগঠিত আন্দোলনের মুখে নতিস্বীকার করেছে প্রশাসনও। যদিও এই আন্দোলনকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ কেরল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কে সুরেন্দ্রণ। তাঁর পালটা অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে দাঙ্গা বাধানোরই পরিকল্পনা ছিল কৃষকদের।
[ আন্দোলনের জয়, কৃষকদের সব দাবি মেনে নিল মহারাষ্ট্র সরকার ]
নিজের মতামত জানাতে সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করেছেন ওই বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, দাঙ্গা লাগানোই ছিল কৃষকদের আসল ছক। এর আগেও এরকম ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। জাতিদাঙ্গা বাধানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। মিছিলে কোনওরকম প্রতিরোধ করা হলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটত কিছু দল। অর্থাৎ স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই ব্যাখ্যা এই নেতার। প্রায় পঞ্চাশ হাজার কৃষক শামিল হয়েছিলেন এই প্রতিবাদে। নাসিক থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত ছ’ দিনের লং মার্চ। কৃষকদের এই আন্দোলন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে অধিকার অর্জনের আন্দোলনকে নয়া রূপ দিয়েছে। মধ্যবিত্তরা নানাভাবে সমর্থন তো জানিয়েইছে, পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন নেটিজেনরা। আদতে কিষাণ সভার ডাকা আন্দোলন হলেও, কৃষকদের ক্ষোভকে সম্বল করে শাসকদলের বিরুদ্ধে ঊষ্মা উগরে দিয়েছেন অনেকেই। তবে কেউ কেউ আবার কৃষকদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা ভিড় বাড়িয়েছেন মিছিলে। সামগ্রিক কর্মসূচিতে যে অঙ্কের অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তার উৎস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই পালটা মতকে জোরাল করেছে বিজেপি নেতার এই দাবি। তাঁর তোপ, বাংলায় যারা কৃষকদের হত্যা করেছে, তারাই এখন কৃষকদের রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। স্পষ্টতই তাঁর তোপ সিপিএমের কৃষক সংগঠনের দিকে। পাশাপাশি এই মিছিলের আয়োজক হিসেবে মাওবাদী ও সমাজবিরোধীরাও আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
[ কৃষকদের পাশেই মধ্যবিত্ত, মিছিলে খাবার-জল এগিয়ে দিচ্ছেন মুম্বইকররা ]
কৃষক আন্দোলনের সার্থকতা নিয়ে দেশবাসীর একাংশ উচ্ছ্বসিত হলেও বিজেপি নেতারা আন্দোলনকে তুলোধোনা করার পথেই নেমেছেন। এর আগে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী পুনম মহাজন ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর মত ছিল, কৃষকরা বামেদের নিশান হাতে আন্দোলন করছেন। তাঁর আশা, এই আন্দোলন যেন রাজনৈতিক কারণে না হয়। অর্থাৎ কোনও রাজনৈতিক দল যেন ফায়দা লুটতে কৃষকদের না ব্যবহার করে। অন্যদিকে চলচ্চিত্র পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, এই আন্দোলন হচ্ছে ‘লাল সন্ত্রাস’।
It’s not just farmers. A poor person in India is poor irrespective of his profession. Red Terror uses farmers, students, Dalits, tribals to build their own mansions. If Commies and #UrbanNaxals are genuinely interested in farmers let them spend some time in farms first. https://t.co/YhVWhb6LL3
— Vivek Agnihotri (@vivekagnihotri) March 12, 2018
[ পথ দেখাচ্ছে মহারাষ্ট্র, দিকে দিকে আন্দোলনের প্রস্তুতি কৃষক নেতাদের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.