সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী বলবেন একে, নির্মম পরিহাস? নাকি অন্য কিছু। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের কৃষক শান্তিদেবী আড়াই লাখ টাকা কৃষিঋণ নেন। বিপুল ঋণ মকুবের জন্য তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁকে ঋণ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তবে মাত্র ১০ টাকা ৩৭ পয়সা। যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন তাঁর সঙ্গে এমন মজা না করতেই পারত। আক্ষেপ গণ্ডগ্রামের এই বাসিন্দার।
[ন্যাশনাল আর্কাইভ থেকে নিখোঁজ সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’]
শুধু শান্তিদেবী নন, ঋণ মকুব নামের তামাশায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ফুটছেন বহু কৃষক। এই যেমন মুন্নিলাল। তাঁর ধার ছিল ৪০ হাজার টাকা। প্রশাসন এই চাষির ২১৫ টাকা ছেড়ে দিয়েছে। কোন মাপকাঠিতে তাদের যৎসামান্য টাকা ছাড়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শান্তিদেবী, মুন্নিলালরা। অথচ চাষিদের পাশে দাঁড়াতে ক্ষমতায় আসার পর অনেক কথা বলেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। শুধু কৃষিঋণ মকুবের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পের জন্য ৩৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। যোগী জানিয়েছিলেন এর ফলে রাজ্যের ৮৭ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন। পাশাপাশি বলা হয়েছিল ১ লক্ষ টাকা ঋণ পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া হবে।
[দুর্নীতির দায়ে ৪৬টি মাদ্রাসার অনুদান বন্ধ করল যোগী সরকার]
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের এমন কাণ্ড-কারখানায় ক্ষুব্ধ হামিরপুরের কৃষকরা। ওই এলাকায় অন্তত দশজন চাষির কাছে এমন আজব ক্ষতিপূরণের চেক এসেছে। যা মোট অঙ্কের হিসাবে একেবারেই নস্যি। এই পরিস্থিতির জন্য চাষিদের বক্তব্য যত দোষ শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী মান্নু কোরির। কারণ তাদের ভুলে এমন পরিণতি। শ্রম দপ্তর ঋণ মকুবের বিষয়টি দেখভাল করছিল। সমালোচিত হলেও মচকাননি শ্রমমন্ত্রী। মান্নু কোরির বক্তব্য, নিয়ম মেনেই ঋণ মকুব করা হয়েছে। কোনও ধরনের গণ্ডগোলের অভিযোগ এলে তার উপযুক্ত তদন্ত হবে। একথা শুনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন তাদের সঙ্গে এমন ঠাট্টা না করলেই ভাল হত। কৃষকদের এই ক্ষোভ উসকে দিয়েছে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি। দলের নেতা নরেশ উত্তমের বিদ্রুপ, সরকার ১০ টাকা ছেড়েছে। ভাবুন কত মহৎ কাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.