সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরব বিরোধীরা, প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন কৃষকরাও। কিন্তু, পরিস্থিতি আর বদলাচ্ছে কই! চলতি মরশুমে পেঁয়াজ চাষ করে ছ’টাকা রোজগার করেছেন মহারাষ্ট্রের এক কৃষক৷ প্রতিবাদস্বরূপ সেই টাকা মানি অর্ডার করে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর আগেও একই কায়দায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রেরই এক কৃষক।
[ রাম মন্দিরের দাবিতে দিল্লিতে দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েত, স্তব্ধ রাজধানী]
পেঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত মহারাষ্ট্রের নাসিক। পশ্চিমবঙ্গে সিংহভাগ পেঁয়াজই নাসিক থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু, এ বছর অতিরিক্ত ফলনের কারণে বিপাকে পড়েছেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। জলের দরে ফসল বিক্রি করে দিতে হচ্ছে তাঁদের। আর তাতে লাভ তো দূর অস্ত, চাষের খরচটুকুও উঠছে না। তাই পেঁয়াজ বিক্রি করে যা টাকা পাচ্ছেন, প্রতিবাদস্বরূপ তা সরকারকেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা। সাড়ে সাতশো কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে মাত্র ১০৬৮ টাকা পেয়েছিলেন নাসিকের কৃষক সঞ্জয় সাথে। সেই টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করে দিয়েছেন তিনি। সেই টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠাতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত ৫৪ টাকা খরচ হয়েছিল ওই কৃষকের। কষ্ট করে হলেও সেই টাকা কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে দান করে দিয়েছেন সঞ্জয় সাথে৷
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার কৃষক শ্রেয়াস আভালে-র পরিস্থিতি আরও খারাপ। তাঁর দাবি, আড়াই হাজার কেজিরও বেশি পেঁয়াজ ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে। আনুষঙ্গিক খরচ মিটিয়ে পেয়েছেন মোটে ছ’টাকা! এদিকে স্রেফ পেঁয়াজ চাষ করতেই ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। ধার করে টাকা জোগাড় করেছিলেন কৃষক শ্রেয়াস আভালে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করে আয়ের টাকা মানি অর্ডারের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে পাঠিয়ে দিয়েছেন শ্রেয়াস। এদিকে আবার আহমেদনগরেই বিনাপয়সা ২০ কুইন্টাল পেঁয়াজ বিলিয়ে দিয়েছেন এক কৃষক। শুধু তাই নয়, সস্তায় পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বোর্ডও লাগিয়েছেন তিনি৷
[ সেলোটেপ আটকে খুদে পড়ুয়াদের মুখ বন্ধ করলেন শিক্ষিকা, ভাইরাল ছবি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.