সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, সময় খারাপ হলেই নাকি মানুষ চেনা যায়। করোনা আতঙ্কের মধ্যে বারবার সেই কথাই প্রমাণ হচ্ছে! সংক্রমণের আশঙ্কায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন (lock down) করেছে সরকার। এর ফলে থমকে গিয়েছে জীবন। বেশিরভাগ মানুষেরই রোজগারের রাস্তা হয়েছে বন্ধ। এর ফলে সবার প্রচণ্ড অসুবিধা হলেও ভয়াবহ হাল হয়েছে সমাজের প্রান্তিক স্তরে পড়ে থাকা মানুষগুলোর। কাজ না থাকায় হাতে থাকা সামান্য অর্থ খরচ হয়ে গিয়েছে খুব সহজেই। ফলে প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বিষয়ে ঘোষণা করা হলেও এখনও পর্যন্ত তার কোনও সুফল পৌঁছায়নি অনেকের হাতে। এর মধ্যে শুরু হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের কালোবাজারি। কালকের দিন বেঁচে থাকবে কি না তার ঠিক নেই। কিন্তু, এখনও মুনাফার লোভ ছাড়তে পারছেন না অনেকে। তবে এর মধ্যেও মানবিকতার পরিচয় দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা দত্তা রাম পাটিলের মতো কিছু মানুষ। অসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চার বিঘা জমির গম দান করে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলছেন, তাঁর কাছে একটা রুটি থাকলেও অর্ধেকটা কাউকে দিতে দুবার চিন্তা করবেন না।
Maharashtra: A farmer from Nashik is distributing wheat harvested from 1 acre of his 3-acre land to needy.Datta Ram Patil says,”I am a small farmer.We’re not financially stable but if we have 1 chapatti then we can give half to others who are in dire need”. #CoronaLockdown (28.3) pic.twitter.com/lesfKF0Js3
— ANI (@ANI) March 29, 2020
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই ছোট একজন কৃষক। মাত্র ১২ বিঘা জমি রয়েছে আমার। খুব একটা বেশি টাকাও নেই। তারপরও মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ১২ বিঘা জমিতে হওয়া গমের তিনভাগের একভাগ দিয়ে দিয়েছি। আমাদের কাছে যদি একটা রুটি থাকে। আর চোখের সামনে দেখতে পাই যে কোনও মানুষ খেতে পাচ্ছেন না তাহলে অর্ধেকটা তাকে দিয়ে দেব।’
নাসিকের ওই কৃষকের কথা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাজানি হতেই সবাই তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দুর্যোগের সময়ই আসল মানুষ চেনা যায় বলে মত তাঁদের। একজন টুইটারাট্টির কথায়, প্রচুর সম্পত্তি বা টাকাপয়সা থাকলেই হয় না। এই ধরনের কাজ করতে গেলে বড় একটা মন লাগে। যা আজকের দিনে খুবই বিরল!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.