সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবারে সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ওঁরা। দেশবাসীর স্বার্থে পরিবারে থেকেও দূরে থাকছেন। কিন্তু সেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা দেখলে চোখে জল আসতে বাধ্য। উত্তরপ্রদেশের রায় বেরিলির একটি স্কুলে কয়েকজন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই স্কুলে দুর্ব্যবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। যদিও অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই স্কুলে যান। কিন্তু ব্যবস্থা দেখে তাঁদের চোখ কপালে উঠে যায়। দেখেন, ঘরের একটিও ফ্যান চলছে না। মাঝেমধ্যেই কারেন্ট চলে যাচ্ছে। বাথরুমের হাল তো আরও শোচনীয়। তখনই তাঁরা ঠিক করেন অভিযোগ জানাবেন। তার জন্য ভিডিও তোলা শুরু করেন তাঁরা। এদিন মাঝরাত ও বুধবার দুপুরে মোট তিনটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখান থেকে জানা যায়, রাতে ওই স্কুলে বিদ্যুত থাকছে না। পাখা কাজ করছে না। এমনকী বাথরুমের জল বেরনোর জন্য কোনও পাইপ নেই। পরের দিন দুপুরে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে এক চিকিৎসক অভিযোগ করে বলেন, “একটা স্কুলে একটা বড় ক্লাসরুমে চারজনের শোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা কোয়ারেন্টাইনের নিয়মের বাইরে। আমরা যখন বললা,ম বাথরুম খারাপ ওরা আমাদের মোবাইল টয়লেট এনে দিল। আমাদের ২০ লিটার জল দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে এই জলই ভাগ করে খেতে হবে।” খাবার নিয়েও বিস্তর অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, একটি প্যাকেটে সবজি, পুরি একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ডাক্তারদের লেখা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেন রায়বরেলির চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর এস কে শর্মা। তিনি বলেন, “আমি নিজে সেখানে গিয়ে দেখেছি। সত্যিই সেখানে থাকা যায় না। ওনাদের কাছেই একটা গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ বা বাথরুমের কোনও সমস্যা নেই। আমরা লাইভ কিচেনেরও ব্যবস্থা করেছি, যাতে ডাক্তারদের গরম গরম খাবার দেওয়া যায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.