ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, কুপুত্র যদিও বা হয় কুমাতা কদাপি নয়। কিন্তু, ঘোর কলিতে এই ধরনের প্রবাদের আর কোনও মূল্য আছে বলে মনে হয় না। কারণ বর্তমান সমাজে কুমাতা ও কুপুত্র, দুটোর সংখ্যাই প্রচুর! কিন্তু, তা বলে নেশার ঘোরে নিজের মা, বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করার ঘটনা মনে হয় খুবই বিরল। আর সেই বিরল ঘটনাই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া এলাকায়। তবে বাড়ির ছেলের এই ধরনের বিকৃত মানসিকতা খুব বেশিদিন সহ্য করতে পারেননি পরিবারের অন্য সদস্যরা। বহুবার বারণ করেও কোনও কাজ না হওয়ায় তাকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন তাঁরা। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কারণে ওই পরিবারের চারজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তও চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাতিয়ার ওই পরিবারে এমনিতে কোনও অশান্তি ছিল না। কিন্তু, গত কয়েকমাস ধরে ওই পরিবারের এক ছেলে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে গন্ডগোল করত। নিজের মা, বোন ও ভাইয়ের স্ত্রী জোর করে ধর্ষণ করত। বাড়ির অন্য সদস্যরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করত। এই কারণে পরিবারের সবাই মিলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। গত ১১ নভেম্বর মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে ফের মা, বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীর উপর চড়াও হয় ওই যুবক। তাঁদের ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বিষযটি দেখে আর চুপ থাকতে পারেননি পরিবারের বাকি সদস্যরা। সবাই মিলে ওই মদ্যপের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেন। তারপর তাকে গলা টিপে খুন করেন। আর মৃতদেহটি নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়ে আসেন কাছে থাকা গোপালদাস পাহাড়ে। পরেরদিন প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে দাতিয়ার এসডিপিও গীতা ভরদ্বাজ বলেন, ‘গত ১২ নভেম্বর স্থানীয় গোপালদাস পাহাড়ের জঙ্গল থেকে ২৪ বছরের একটি ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে। তদন্তে উঠে আসে, ওই ছেলেটি নিজের মা, বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করত। তাই পরিবারের লোকেরা তাকে মেরে ফেলেছেন। গ্রেপ্তারের পর ওই পরিবারের চারজনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.