সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে গিয়েছিল ভদোদরার এক পরিবার। স্বামী-স্ত্রী-সন্তান মিলিয়ে মোট পাঁচজন। কিন্তু তারপরই উধাও গোটা পরিবার। ৭২ ঘণ্টা পরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁদের। অদ্ভুত এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গুজরাটের নর্মদা জেলার কেবাদিয়া কলোনিতে।
সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের দীর্ঘ মূর্তি এখন দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটকস্থল। বিশেষ করে গুজরাটের মানুষ সময় বের করে এই স্থাপত্যের সাক্ষী হতে হাজির হয়ে যান। তেমনই গিয়েছিল পারমার পরিবারও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্পেশ পারমার তাঁর স্ত্রী ত্রুপ্তি, মা উষা এবং দুই সন্তান নিয়তি ও অথর্বকে নিয়ে গত রবিবার স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে গিয়েছিলেন। দুই সন্তানের বয়স যথাক্রমে নয় ও সাত। সকাল দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজেদের গাড়িতেই রওনা হয়েছিলেন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দর্শনে। সেখানে গিয়ে সপরিবারে ছবি তোলেন কল্পেশ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সে সব ছবি পোস্ট করেন তিনি। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরও নিজেদের ছবি পাঠান। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তাঁরা আর বাড়ি ফেরেননি। রবিবার থেকেই তাঁদের ফোন সুইচড অফ। পুলিশ জানাচ্ছে, রবিবার সন্ধেয় শেষবার চিল্ড্রেনস নিউট্রিশন পার্কের বাইরের সিসিটিভি-তে দেখা গিয়েছিল গোটা পরিবারকে। কিন্তু তারপর তাঁরা কোথায় গেলেন, ভেবে কূল পাচ্ছেন না আত্মীয়রা। এমন ঘটনায় ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।
এক আত্মীয় জানাচ্ছেন, শেষবার যখন কল্পেশের সঙ্গে কথা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন ভদোদরা ফেরার আগে বারুচে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দেখা করতে যাবেন। কিন্তু সোমবার সকালেও কল্পেশরা বাড়ি ফেরেননি দেখে তাঁর ঠাকুরদা ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। দেখেন মোবাইল সুইচড অফ। এরপর বারুচের ওই আত্মীয়র বাড়িতে ফোন করে জানতে পারেন তাঁদের বাড়িতে কল্পেশরা যানইনি। তখনই পুলিশে খবর দেন পারমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে শুরু হয়েছে তদন্ত। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে শেষ লোকেশন ট্র্যাক করারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কল্পেশদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমন ঘটনায় বিস্মিত এলাকার বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.