সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলের ফৌজদারি দণ্ডবিধির আমূল সংস্কারে নেমেছে কেন্দ্র। শুক্রবার সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আচমকাই সংসদে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আমূল বদল চেয়ে তিনটি বিল পেশ করেন। যার অন্যতম ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’র ১৯৫ ধারা। ওই আইন অনুযায়ী ‘ফেক নিউজ’ ছড়ালেই ৩ বছরের জেল! এর পরেও খোদ দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামে ভুয়ো মেসেজ ছড়ানোর অভিযোগ। হোয়াটসঅ্যাপে ওই বার্তা ছড়ানো হয়। ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতের সেক্রেটারি জেনারেল এবং সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা নিশ্চিত করেছেন ওই মেসেজটি ভুয়ো। কী ছিল মেসেজে?
হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো বার্তায় দাবি করা হয়, প্রধান বিচারপতি দেশের সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। বার্তাটি ছিল এই রকম- “আমরা ভারতের সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তবে আপনাদের সহযোগিতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামা উচিত এবং সরকারের কাছে নিজেদের অধিকারের দাবি জানানো উচিত। এই স্বৈরাচারী সরকার মানুষকে ভয় দেখাবে, হুমকি দেবে। কিন্তু ভয় পাবেন না, সাহস রাখুন এবং সরকারের কাছে হিসাব চান। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।” নিচে লেখা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মেসেজ ছিল প্রধান বিচারপতির ছবিও।
সোমবার ল টুডে-কে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল অতুল কুর্হেকার জানান, প্রধান বিচারপতির নামে ছড়ানো ওই হিন্দি এবং ইংরেজিতে লেখা বার্তা ভুয়ো। কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি একটি ভুয়া বার্তা, যা ফরোয়ার্ড করা হয়েছিল। কোনও সিজেআই কখনওই এমন কাজ করবেন না, সিজেআই চন্দ্রচূড়ের মতো আলোকিত ব্যক্তিত্বের এমনটা করা সম্ভ না। মাননীয় প্রধান বিচারপতির নামে যারগা ভুয়ো মেসেজ ছড়িয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.