সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের নাগৌর এলাকার আস্তাকুঁড়ে পড়েছিল একটি শিশুকন্যা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করার ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে দত্তক নেওয়ার জন্য জেলা কালেক্টরের সঙ্গে দেখা করলেন নয়ডার এক সাংবাদিক দম্পতি। বর্তমানে নাগৌরের জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ভরতি রয়েছে শিশুটি।
কয়েকদিন আগে নাগৌর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার ভিডিও দেখেই তাকে দত্তক নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন পেশায় সাংবাদিক ও পরিচালক বিনোদ কাপরি। স্বামীর সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেন একটি টিভি চ্যানেলের নিউজ অ্যাংকর সাক্ষী যোশীও। এরপর রবিবার নয়ডা থেকে নাগৌর যান। জেলা কালেক্টরের সঙ্গে দেখা করে দত্তক নেওয়ার আইনি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন তাঁরা। তবে তার আগে জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে গিয়ে ছোট্ট শিশু পিহু-কে দেখে তার শারীরিক অবস্থার খবর নেন।
এপ্রসঙ্গে বিনোদ কাপরি বলেন, “আইনি পথে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। এর জন্য আমি আর আমার স্ত্রী নাগৌরের জেলা কালেক্টরের সঙ্গেও দেখা করেছি।” সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার কথা জানিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা পিহু-র ছবিও পোস্ট করেছেন বিনোদ। তাতে তিনি লিখেছেন, “বন্ধুরা, আপনাদের সন্তান ভাল আছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। সবাই ওর জন্য প্রার্থনা করুন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওর সঙ্গে দেখা করব। ওকে সুস্থ করে তোলার জন্য জওহরলাল নেহরু হাসপাতালের ডাক্তারদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালের রেকর্ড বইতে ওর কোনও নাম ছিল না। কিন্তু, এখন ওকে পিহু নামেই সবাই চেনে।”
হাসপাতাল থেকে ফেরার পরে টুইটারে স্বামীর সঙ্গে পিহু-র ছবি পোস্ট করেছেন তাঁর স্ত্রী সাক্ষীও। টুইট করেছেন, “আমার তরফে এটা শেষ পোস্ট। পুরো কাপরি পরিবার ওকে নিজেদের পরিবারের সদস্য করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। আইনি পথে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। আপনাদের ভালবাসা ও সমর্থনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।”
তাঁর এই টুইটের পরে উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় মেতে উঠেছেন নেটিজেনরাও। একজন টুইট করেন, “আপনাদের মতো দম্পতিকে উপহার দেওয়ার জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই। পৃথিবীর সমস্ত সুখ ও আনন্দ আপনাদের সুন্দর পরিবারে ঝরে পড়ুক।” একজন টুইট করেন, “বিনোদজী এটা কি আপনার প্রথম ফাদার ডে? হ্যাপি ফাদার’স ডে।”
এপ্রসঙ্গে জওহরলাল নেহরু হাসপাতালের এক চিকিৎসক মুলা রাম বলেন, “অনেক চেষ্টার পর জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছে শিশুটি। বর্তমানে সুস্থ আছে। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে।”
This is final post from me.The whole Kapri family is dying to have her in the family. We will try our BEST to adopt her as per rules and guidelines. The whole Thanks a lot for all your love and support #HappyFathersDay pic.twitter.com/c2uDjUQUo5
— Sakshi Joshi (@sakshijoshii) June 16, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.