ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বয়েজ লকার রুম-এর মতো অশালীন গ্রুপ কি সরিয়ে ফেলা সম্ভব? জানতে চেয়ে, কেন্দ্র এবং তিনটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে মঙ্গলবার নোটিস পাঠাল দিল্লি হাই কোর্ট।
সম্প্রতি নামজাদা একাধিক স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে তৈরি এই বেআইনি গ্রুপটি বন্ধ করার আরজি জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেএন গোবিন্দাচার্য। আদালতকে তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরনের গ্রুপে যা আলোচনা হয়, তা অত্যন্ত অশালীন। ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকে বেআইনি কথোপকথন যুবপ্রজন্মকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই অবিলম্বে বয়েজ লকার রুম ও এরকম সব গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হোক। তাঁর সেই আবেদনের শুনানিতেই এদিন হাই কোর্ট নোটিস পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং তিন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, গুগল ও টুইটারকে। বিচারক রাজীব সহাই এন্ডলো এবং সংগীতা ঢিংরা সেগালের বেঞ্চ নোটিসে চানতে চায় এই গ্রুপগুলি বন্ধ করার বিষয়ে তাদের অবস্থান কী। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই। তার আগেই এ বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে হবে তাদের।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ইনস্টাগ্রামের একটি গ্রুপের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, বয়েজ লকার রুম (Bois Locker room) নামে ওই গ্রুপে স্কুল বা কলেজ ছাত্রী, এমনকী শিক্ষিকাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করা হত। আর তা নিয়ে চলত বিভিন্ন অশালীন আলোচনা। এমনকী, যৌন চাহিদা চরিতার্থ করতে ধর্ষণ, গণধর্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হত। একইসঙ্গে নানা ধরনের যৌন ফ্যান্টাসি নিয়ে আলোচনা চলত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দিল্লির বেশ
কয়েকটি নামজাদা স্কুলের একাধিক ছাত্র ও ওই গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। সেখানে আবার কেঁচো খুঁড়তে বেরোয় কেউটে।
অভিযুক্ত ছাত্রদের মধ্যে এক ছাত্রীও রয়েছে। যে ছেলের নাম ব্যবহার করে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে এই কথোপকথনে অংশ নিয়েছিল। এমনকী, ওই প্রোফাইল থেকে নিজেকে গণধর্ষণের প্রস্তাবও দিয়েছিল। আর সেই প্রস্তাব ঘিরেই গোটা আলোচনার সূত্রপাত হয়। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ। যদিও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে সাতদিন আগে পর্যন্তও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.