সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে কামাখ্যা-ডেকারগাঁও ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে বিস্ফারণের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর অবশেষে মুখ খুললেন উত্তর-পূর্ব রেলের কর্তারা৷ রবিবার বিবৃতি দিয়ে উত্তর-পূর্ব রেলের মুখপাত্র নৃপেণ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে কারণ জানতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও রেল আধিকারিকরা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন৷ চলছে বিভাগীয় তদন্ত৷ ঘটনায় কোনও জঙ্গি যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ একইসঙ্গে রেলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ উত্তর-পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতি জারি হতেই বিস্ফোরণের দায় উড়িয়ে দিয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম বা উলফা৷ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কামাখ্যা-ডেকারগাঁও ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণে তাদের সংগঠন কোনওভাবে জড়িত নয়৷
উলফার তরফে দায় এড়ানোর বিবৃতি প্রকাশ্যে আসতেই বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে রেলের প্রশাসনিক কর্তাদের৷ দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে৷ উত্তর-পূর্বগামী সমস্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে উত্তর-পূর্বগামী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ চলন্ত ট্রেনে বাড়ানো হয়েছে আরপিএফের সংখ্যাও। পাশাপাশি টার্মিনাল স্টেশনেও থাকছে বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থা৷
[গুড মর্নিং নয়, ‘সালাম ওয়ালেকুম’ বলার নির্দেশ, বিতর্কে সরকারি স্কুলের শিক্ষক]
কিন্তু, নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যাত্রীদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে যদি উলফার কোনও হাত না থাকে, তাহলে চলন্ত ট্রেনে কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ? রেল পুলিশের চোখ এড়িয়ে কীভাবে বিস্ফোরক উঠে এল এক্সপ্রেসের মধ্যে৷ শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা রক্ষীদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যাত্রীদের একাংশ৷
[উধাও স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ফুটেজ, মধ্যপ্রদেশে তুঙ্গে ইভিএম বিতর্ক]
রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গোটা ঘটনায় দায় উলফার উপর চাপাতে কোমর বেঁধেছে অসম পুলিশ৷ চলন্ত ট্রেনে বিস্ফোরণের পর পুলিশ সুপার রাজবীর সিং জানিয়েছেন, নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে৷ পুলিশের অনুমান, আইইডিটি ট্রেনের চার নম্বর কামরার একটি লটবহর রাখার বাংকারে রাখা ছিল৷ উপরের দিকে থাকায় বিস্ফোরণে বগির ছাদের একটি অংশের কিছু ক্ষতি হয়েছে৷ নিচে বসা কয়েকজন যাত্রী আহত হলেও প্রাণহানির খবর এখনও পাওয়া যায়নি৷ পুলিশ সুপারের অনুমান, উলফা অথবা অন্য কোনও নিষিদ্ধ সংগঠন এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.