Advertisement
Advertisement
Oxford-AstraZeneca vaccine DGCI

অপেক্ষার অবসান, ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র বিশেষজ্ঞ কমিটির

DCGI সরকারি শিলমোহর দিয়ে দিলেই দেশে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ।

Expert committee of DGCI approves Oxford-AstraZeneca vaccine for emergency use in India |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 1, 2021 5:35 pm
  • Updated:January 1, 2021 5:49 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। ভারতে ছাড়পত্র পেতে চলেছে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন। বছরের প্রথম দিনই দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়ার (Drug Controller of India) সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্রুপ। এই কমিটি এবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করবে। DCGI সরকারি সিলমোহর দিয়ে দিলেই দেশে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Oxford-AstraZeneca) তৈরি কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘‌কোভ্যাক্সিন’, এবং ফাইজারের তৈরি করোনার টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছিল। এই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখতে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠকে বসে DCGI-এর সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্রুপ। তবে, সেদিন বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ওই কমিটি। নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ, শুক্রবার ফের ওই এক্সপার্ট কমিটি বৈঠকে বসে। বিস্তারিত আলোচনা এবং যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই কমিটি। এবার DCGI ওই কমিটির সুপারিশে সিলমোহর দিলেই দেশে করোনার টিকাকরণ শুরু করতে পারবে সরকার। সে প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। শনিবারই দেশের সব রাজ্যে একযোগে টিকাকরণের ড্রাই রান হবে। ইতিমধ্যেই চার রাজ্যে সাফল্যের সঙ্গে ড্রাই রান সেরে ফেলা হয়েছে। এবার গোটা দেশে তা করা হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যাবে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া।, 

Advertisement

[আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতে সামান্য স্বস্তি! কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু]

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ওষুধ সংস্থা অ‌্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ প্রথম ছাড়পত্র পাওয়ার কারণ হল, এর কার্যকারিতা বাকি ভ্যাকসিনগুলির থেকে অনেকটা বেশি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা প্রায় ৬৪ শতাংশ। এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকটাই কম। এমনকী ব্রিটেন বা ব্রাজিলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যেমন ফল মিলেছে ভারতেও প্রায় একইরকম কার্যকারিতা পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ভ্যাকসিন। ভারতে এই টিকার প্রস্তুতকারক সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, এখনই কোভিশিল্ড টিকার প্রায় পাঁচ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলেছে তারা। আগামী বছর মার্চের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে যাবে। করোনার টিকার যে বিপুল উত্‍পাদন হবে তার সিংহভাগই থাকবে দেশের জন্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement