সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে শেষ মুহূর্তে ওড়িশার ল কলেজে চান্স পেয়েছিল রাজীব৷ দ্বিতীয়বার আর ভাবেনি, সোজা তৎকালীন টিকিট কেটে পৌঁছে যায় কটক৷ পৌঁছেই বুঝতে পারে কত বড় ভুল করে ফেলেছে৷ যখন কলেজ হস্টেলে জায়গা পায়নি৷ অগত্যা প্রাইভেট হস্টেলের বন্দোবস্ত করতে হয়৷ সদ্য হওয়া বন্ধুর দেওয়া ঠিকানায় যখন পৌঁছল, সামনে দেখতে পেল প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো একটা বাড়ি৷
কটকের সবচেয়ে প্রাচীন এই হোটেলের দো’তলাটা পুরোটা হোটেল৷ এক তলাটা হস্টেল হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়৷ হস্টেলের কাজ তখনও শেষ হয়নি৷ তাই উপরে হোটেলের ঘরেই থাকতে দেওয়া হয় রাজীবকে৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজীব খেয়াল করছিল তাঁর সামনের রুমের দরজা ভেজানো থাকে, অথচ সেই ঘরে কেউ ঢোকে না৷ এমনকী, সকালে যে মেয়েটি কাজ করতে আসে৷ সে সব ঘর পরিষ্কার করে, কিন্তু ও ঘরে যায় না৷ এ বিষয়ে একদিন মালিকের ভাইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল রাজীব৷ তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান৷ শেষে একদিন কৌতূহলের বশে ঘরে ঢুকেই পড়ল রাজীব৷ ঢুকেই অবাক হয়ে গেল৷ পুরো ঘরটা পরিষ্কার সাজানো-গোছানো৷ অথচ এই ঘরে কাউকে ঢুকতে দেখে নি এতদিন৷
সেই রাতে সবে লাইট বন্ধ করে নিজের ঘরের বিছানায় গেল, তখনই ঘটল ঘটনাটা৷ একেবারে ঘাড়ের কাছে কারও নিঃশ্বাস পরিষ্কার অনুভব করল রাজীব৷ একেবারে বরফের মতো ঠাণ্ডা৷ পুরো শরীর যেন অবশ হয়ে যেতে লাগল তার৷ মনের সব সাহস সঞ্চয় করে উঠে বসল রাজীব৷ কই? কেউ নেই তো কোথাও৷ আবার শোওয়ার চেষ্টা করল৷ কিন্তু একই ঘটনা৷
এবারে ঘরে লাইটটা জ্বালিয়ে দিল রাজীব৷ সারা রাত এভাবেই বসে কাটাল৷ পরের দিন পুরো ঘটনা খুলে বলল ম্যানেজারকে৷ ম্যানেজার সব শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে রইল৷ তারপর কথা না বাড়িয়ে রাজীবকে নিচের ঘরেই থাকতে বলল৷ কিন্তু, ঘরের কথা আর কেউ উচ্চারণ করল না৷ রাজীবও সাহস করে কোনওদিন জিজ্ঞেস করে উঠতে পারেনি৷ দুই মাস বাদেই কলেজের হস্টেলে রুম পেয়ে চলে গিয়েছিল৷ এই দুই মাসে আর কোনও উৎপাত হয়নি৷ কিন্তু আজও সেই ঘরের রহস্য অজানাই থেকে গিয়েছে রাজীবের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.