সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাপের কামড়ে বিপদজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল ২৫ বছরের যুবতীকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু বাড়ির মেয়েকে নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তা তখনও কাটেনি। তাই হাসপাতালের মধ্যেই ওঝা ডেকে রীতিমতো ঝাড়ফুঁক চলল। কুসংস্কার মানুষের জীবনে কীভাবে থাবা বসাতে পারে, মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণিত হল।
ঘটনা গত রবিবারের। মধ্যপ্রদেশের দামোর এক হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ইমারতী দেবী নামের ওই যুবতী। বাটিয়াগড়ের বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, সেই রাতেই হাসপাতাল কর্মীদের নজর এড়িয়ে মহিলা ওয়ার্ডে এক ওঝাকে নিয়ে ঢুকে পড়ে যুবতীর পরিবার। তারপর বেড থেকে তাঁকে তুলে এনে মাটিতে বসতে বলা হয়নি। চলে পুজো পাঠ। শুধু তাই নয়, পুরুষদের ওয়ার্ডের সামনে ইমারতীকে পোশাক খুলতে বলা হয়। সুস্থ করে তোলার নাম করে রীতিমতো হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁকে। গোটা ঘটনা ধরা পড়ে যায় হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে। তারপর থেকেই রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সে সময় কর্তব্যরত এক নার্স পুরো ঘটনা দেখেও তা রোখার চেষ্টা করেননি। তবে নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা ঘটনার কথা জানতেন না।
মধ্যরাতের সেই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। সিভিল সার্জেন মমতা তিমোরি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নার্স ছাড়া আর কেউ এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। তবে সেই নার্স সব জেনেও কাউকে খবর দেননি। তাঁকে একটি নোটিস ধরানো হচ্ছে। যদিও নার্সের দাবি, রোগীদের বোঝানো সত্ত্বেও এসব ঘটনা হামেশাই ঘটতে থাকে। বিষয়টি ক্যামেরা বন্দি হলেও সিসিটিভি ফুটেজও চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষের। স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে ঢুকে এভাবে ঝাড়ফুঁক করায় সেখানে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.