সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ২০ জন বিচারপতি বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। আদালত অবমাননার অপরাধে কর্মরত অবস্থায় জেলে যেতে হয়েছিল। লোকসভা ভোটে বারাণসীতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিএস কারনান। খুব তাড়াতাড়ি মনোনয়ন জমা দেবেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
তখন তিনি কলকাতা হাই কোর্টে কর্মরত। বিচারপতি সিএস কারনানের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিবাদ চরমে পৌছায়। দেশে ২০ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনেন কারনান। দেশের বিচারপতি ও সরকারের কাজের সমালোচনা করে আপত্তিকর ভাষায় চিঠিও লিখেছিলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। এমনকী, বিভিন্ন মামলায় বিচারপতি সিএস কারনানের রায়ে দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে যায়। ২০১৭ সালে কর্মরত অবস্থায় বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরই কলকাতায় নিজের বাড়িতে আদালত বসিয়ে খোদ সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি-সহ সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন কারনান। সুপ্রিম কোর্টের তখনকার প্রধান বিচারপতিকে পাঁচ বছরের জেল ও এক লক্ষ টাকার সাজা শুনিয়েছিলেন তিনি! শেষপর্যন্ত কলকাতার হাই কোর্টের বিচারপতি কারনানকে ছ’মা্সের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যা নজিরবিহীন।
২০১৭ সালে জুন মাসে ফেরার অবস্থায় কলকাতা হাই কোর্টে কর্মজীবন শেষ হয় বিচারপতি কারনানের। অবসরের পর আদালত আবমাননার অপরাধে ছয় মাস জেল খাটতে হয়েছিল তাঁকে। গত বছর অ্যান্টি-কোরাপশন ডায়নামিক পার্টি তৈরি করে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিএস কারনান। এবারের লোকসভা ভোটে ইতিমধ্যেই চেন্নাই সেন্ট্রাল লোকসভা আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.