Advertisement
Advertisement
পি চিদম্বরম

২৭ ঘণ্টা পর হদিশ মিলল চিদম্বরমের, আইএনএক্স মামলায় অভিযোগ অস্বীকার

মঙ্গলবার থেকে বেপাত্তা ছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী৷

Ex finance minister P Chidambaram meet the press
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 21, 2019 8:34 pm
  • Updated:August 21, 2019 9:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৭ ঘণ্টা পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরম। বুধবার সন্ধেয় নয়া দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। এমনকী আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য প্রমাণও নেই। সিবিআইও আমার বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট দেয়নি।” সাংবাদিক বৈঠকের পরই কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী৷ চিদম্বরমের এই সাংবাদিক বৈঠককে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জল্পনা। 

[আরও পড়ুন:সেনার কাঠামোয় বড় রদবদল, নজরদারিতে তৈরি হবে নয়া সেল]

মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই কার্যত উধাও গিয়েছিলেন চিদম্বরম। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দিল্লির জোড়বাগের বাড়িতে বার তিন সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েও তাঁর খোঁজ পাননি। উলটে, চিদম্বরমের তরফে তাঁর আইনজীবীরা সিবিআইকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, যেহেতু তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন, তাই তাদের মক্কেলের বিরুদ্ধে যেন কোনওরকম পদক্ষেপ না করা হয়। সকাল সাড়ে দশটায় আদালত খুলতেই দিল্লি হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন চিদম্বরমের আইনজীবীরা। অন্যদিকে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর করা আবেদনের বিরুদ্ধে ক্যাভিয়েট জারি করে সিবিআই এবং ইডিও। ইডি অবশ্য আগেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করেছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন:মন্দার ধাক্কা! ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘পার্লে’]

চিদম্বরমের করা আবেদন নিয়ে সকাল থেকেই টানাপোড়েন চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমে মামলাটি ওঠে বিচারপতি এন ভি রামান্নার এজলাসে। তিনি মামলাটি পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ব্যস্ত ছিলেন রাম মন্দির মামলার শুনানি নিয়ে। তাই তিনি মামলা শুনতে পারেননি। মামলা আবার ওঠে বিচারপতি রামান্নার এজলাসে। কিন্তু, কপিল সিব্বল, সলমন খুরশিদ, অভিষেক মনু সিংভির মতো দুঁদে আইনজীবীদের আবেদনেও ভুল থেকে যায়। যার জেরে মামলার শুনানি করা সম্ভব হয়নি। ভুল সংশোধন করে নতুন করে আবেদন করেন সিব্বালরা। তারপরই বিচারপতি রামান্না জানিয়ে দেন, মামলাটি যেহেতু নথিভুক্ত হয়নি তাই আজ আর শুনানি সম্ভব নয়। ফলে, বহাল রয়েছে দিল্লি হাই কোর্টের রায়ই। অর্থাত যে কোনও কোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement