সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতেও কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই এখন ভূস্বর্গে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ, কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেও জঙ্গি কার্যকলাপে রাশ টানা যাচ্ছে না। তবে সাফল্যও এসেছে সেনার হাতে। একের পর এক জঙ্গি নেতা নিকেশ হয়েছে জওয়ানদের পরাক্রমে। এবার জঙ্গি হামলা থেকে নিজেদের বাঁচাতে উপত্যকার সংখ্যালঘু হিন্দু ও অত্যাচারিত মুসলিমদের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন ডিজিপি শেষপাল বৈদ।
তাঁর মতে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মরক্ষার বোধ জাগিয়ে তোলার প্রয়োজন। তার জন্য সবরকম পন্থা প্রয়োগ করা উচিত বলে মনে করেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এই প্রাক্তন ডিজি। কীভাবে জঙ্গি হামলার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে তারও পন্থা বাতলে দিয়েছেন বৈদ। তিনি বলেছেন, ‘উপত্যকায় গ্রাম প্রতিরোধ কমিটি বা ভিলেজ ডিফেন্স কমিটি গড়ে তুলতে হবে। এটা করতে গেলে পুরো পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। জিনিসটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।’ এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের উদাহহরণ দিয়ে বলেছেন, ১৯৯৫ সালে যখন তিনি উধমপুরের এসএসপি ছিলেন তখন ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপদ্রব ছিল। তখন সেখানেৃকার বাসিন্দাদের জঙ্গি হামলার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভিডিসি গড়ে তোলা হয়। পরে জম্মু ডিভিশনের চন্দ্রভাগা উপত্যকা এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষায় তখনকার সরকার বেশ কয়েকটি ভিডিসি গঠন করে।
বৈদ জানিয়েছেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা যখন উপত্যকা ছেড়ে চলে যান তখন সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ বাড়ায় জঙ্গিরা। চন্দ্রভাগা উপত্যকায় প্রচুর হিন্দুদের হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই সময় ভিডিসি গঠন করে ওই এলাকার হিন্দু এবং অত্যাচারিত মুসলিমদের আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা দারুণ সফল হয়। চোখে চোখ রেখে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল দুই সম্প্রদায়। বর্তমানে কাশ্মীরে যে হারে দুই সম্প্রদায়ের উপর জঙ্গি হামলা বাড়ছে তাতে ফের একবার এঁদের রক্ষা করার সময় এসেছে। ভিডিসি গঠন করে দুই সম্প্রদায়ের মানুষকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন বৈদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.