বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদির (Narendra Modi) ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। অর্থনেতিক ও সামাজিক দিক থেকে দেশ আজ বিশ্বের প্রথমসারিতে, ভাষণে দাবি রাষ্ট্রপতির। দ্রৌপদী মুর্মুর দাবি, আজকের ভারত নিয়ে প্রত্যেক নাগরিকের গর্বিত হওয়ার কোনও না কোনও কারণ আছে।
বস্তুত, এদিন সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য যেন পাঠ করেছেন রাষ্ট্রপতি। সেই আত্মনির্ভর ভারত। সেই বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও (Beti Bachao, Beti Padao) কর্মসূচির, ঘুরেফিরে এলো করোনা মোকাবিলায় সরকারের সাফল্য ও ডিজিটাল ইন্ডিয়ার (Digital India) সফলতা। অর্থনেতিক দিক থেক বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের মাথা উচুঁ করে পাল্লা দেওয়ার দাবি। সেইসঙ্গে দাবি করলেন আজ আর দেশের কোনও মানুষকে ভুখা পেটে থাকতে হয় না। যা কার্যত দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা। দ্রৌপদী মুর্মুর দাবি, অর্থনীতিতে ভারত আজ বিশ্বের প্রথমসারির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। করোনার সময় আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল, তারই ফল পাচ্ছে ভারত।
প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। এবারই প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসাবে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। তাই দ্রৌপদী কী বলেন, সেইদিকে নজর ছিল দেশবাসীর। বক্তৃতার শুরুতেই গত কয়েকবছরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ কতখানি এগিয়েছে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি। অথচ ভাষণে আদিবাসীদের প্রসঙ্গে কয়েক লাইন বললেও সংখ্যালঘুদের বিষয় এড়িয়ে যান। এই সরকারের সময় আদিবাসী জনজাতিরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে। আর্থিকভাবেও স্বনির্ভর হচ্ছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।
গোটা ভাষণ জুড়েই ছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের স্তুতি। তিনি মনে করেন, করোনার (Coronavirus) সময় গ্রাম ও শহরের মধ্যে ব্যবধান আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে। এখন শহর ও গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। এদিন ভাষণে জাতির জনকের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি আধুনিক ভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবমুখী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.