ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (CoronaVirus) ফাঁসে এবার ইপিএফের সুদও। করোনা আবহে আশানুরূপ আয় না হওয়ায় সদস্যদের জমা টাকার উপর ২০২০ অর্থবছরের সুদ দু’টি কিস্তিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএফও। বুধবার ইপিএফও বোর্ডের তরফে সদস্যদের জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ৮.১৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে গ্রাহকদের। পরে দেওয়া হবে ০.৩৫ শতাংশ সুদ। ইপিএফও (EPFO) জানিয়েছে, মার্চে যত টাকা উঠবে বলে হিসাব করা হয়েছিল, করোনার জেরে সেটা হবে না।
গত মার্চে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ইপিএফ সদস্যদের ৮.৫ শতাংশ সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বোর্ড। এটি সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম সুদের হার। তার আগের বছর ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়েছে। ইপিএফও (Employees’ Provident Fund Organisation) জানিয়েছে, এখন ৮.১৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। আর ডিসেম্বরে দেওয়া হবে বাকি ০.৩৫ শতাংশ সুদ। ইপিএফও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই হতাশ আমানতকারীরা। এই করোনা আবহে চাকরি গিয়েছে বহু মানুষের। অনেকেরই হয়তো বড় আকারে বেতন কমেছে। এদের অনেকেই এই সংকটকালে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চয় হাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও এবার সুদ নিয়ে গড়িমসি।
সূত্রের খবর, মার্চে ইপিএফও ভেবেছিল ডিভিডেন্ড ও ইটিএফ (ETF) বেচে ৩.৫ হাজার কোটি থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা মিলবে। কিন্তু করোনার কারণে তা বেচা হয়নি। সূত্রের খবর, এখন নভেম্বর বা ডিসেম্বরে এগুলি বেচা হবে। কিন্তু তখনও বাজারের অবস্থা খারাপ থাকলে কী হবে, সেটা কেউ জানে না। স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন আমানতকারীরা। প্রশ্ন উঠছে, বছর শেষে বাকি সুদ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আদৌ পূরণ হবে তো। কেন্দ্রীয় অছি বোর্ডের সদস্য ব্রিজেশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি মতো ৮.৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় খারাপ বাজারের পরিস্থিতির জন্য অনেক লগ্নি ভাঙানো হয়নি। সেকারণেই এই সমস্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.